ফাল্গুনের মধ্যভাগে লঘুচাপের কারণে ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বইমেলার সময় বাড়ানো হয় দুই দিন। তবে প্রথম দিন মেলায় পাঠক ও দর্শনার্থী কম থাকলেও শেষ অবধি জমে ওঠে প্রাণের আবেগে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ১১টায় মেলার দুয়ার খোলার পর থেকেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো কম। বইমেলা চত্বর প্রায় ফাঁকা দেখা যায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিলো একই অবস্থা। অল্পসংখ্যক বইপ্রেমী এদিন মেলায় এসেছেন।
সন্ধ্যা নামতেই দৃশ্য পাল্টে যায়। বিপুলসংখ্যক বইপ্রেমী উপস্থিতিতে ফের আশাবাদী হয়ে ওঠেন প্রকাশকরা।
শেষ পর্যন্ত অনেককেই দেখা গেরো দুই হাত ভর্তি করে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে মেলা থেকে ফিরে যাচ্ছেন। তবে অনেকের সাথেই কথা বলে জানা গেছে, বইয়ের টানে যে মেলায় ছুটে আসা, আজ ঠিক তা নয়, বরং ঘুরতে এসেই বই কিনেছেন তারা। এদিক থেকে তরুণেরা বই কেনায় ছিলেন সবার চেয়ে এগিয়ে। অনুপ্রেরণাদায়ী বই, ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বই, মুক্তিযুদ্ধের বই, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বইসহ বিভিন্ন বই ছিলো তাদের পছন্দের তালিকায়।
এদিকে মেলা দু’দিন বাড়ানোর ঘোষণায় প্রকাশকরা যতটা আশান্বিত হয়েছিলেন, প্রথমদিকে তা থেকে আশাহত হলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা জানিয়েছেন বিক্রি বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে বলাকা প্রকাশনের প্রকাশক শরিফা বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, মেলার প্রথমদিকে ক্রেতাদের অনুপস্থিতি হতাশ করলেও সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্ত থেকে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি শেষ দিনটাও ভালো কাটবে।
বাংলা একাডেমির হিসেব মতে অমর একুশে গ্রন্থমেলার বর্ধিত সময়ের প্রথম দিন মেলায় নতুন বই এসেছে ৮৬টি। এর মধ্যে গল্প ১৫টি, উপন্যাস ৭টি, প্রবন্ধ ৩টি, কবিতা ৩১টি, ছড়া ২টি, শিশুসাহিত্য ৬টি, জীবনী ২টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬টি, বিজ্ঞান ৩টি, নাটক, ভ্রমণ, রাজনীতি, কম্পিউটার, অনুবাদ ও সায়েন্স ফিকশন ১টি করে এবং অন্যান্য ৫টি।
শনিবার (২ মার্চ) অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ দিন। এদিন মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ