বেলা ১১টায় সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই মেলা শুরু হবে। নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় ১০ দিনব্যাপী এ উৎসব ও বইমেলা চলবে।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় গিয়ে দেখা যায়, মেলার স্টল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। সাংস্কৃতিক উৎসবের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। চলছিল প্যান্ডেল তৈরির সাজসজ্জা। গ্রিনপ্লাজার পুরো বেষ্টনীজুড়ে থাকছে সাংস্কৃতিক উৎসব ও বইমেলার আয়োজন।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব আরিফুল হক কুমার বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমবারের মতো এবার এমন উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ১০ দিনব্যাপী বইমেলাও চলবে নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায়।
বইমেলায় মোট ২৫টি স্টল থাকবে। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি, ঐতিহ্য, ইত্যাদী, ব-দ্বীপ প্রকাশনীসহ নামিদামি প্রকাশনীর স্টল থাকছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সন্ধ্যার পর দর্শনাথীদের জন্য থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সব আয়োজন এরইমধ্যে শেষ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার থেকে উৎসব ও বইমেলা শুরু হবে।
পরিষদের সদস্য সচিব আরিফুল হক কুমার বলেন, আগামী ২০২০ সাল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বর্ণিল সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব চলাকালে স্বাধীনতা পদকের জন্য ভূষিত হওয়ায় রাজশাহীর কৃতি সন্তান ভাষা সৈনিক গোলাম আরিফ টিপু ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে সংবর্ধিত করা হবে।
এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনকে এ পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে মহানগরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মেতে থাকবে মহানগর।
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এদিন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসএস/আরবি/