বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে থাকা মঞ্চে পঞ্চকবির গানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবের চতুর্থ দিনের আয়োজন। আর বাউল গানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় এ দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
রাতে কার্তিক দাস বাউল ও তার দলের শিল্পীরা পুরো মেলা প্রাঙ্গণে সুরের ঝড় তোলেন। এ সময় বইমেলায় আগত দর্শনার্থীরা সেই সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে যান।
এর আগে বাংলার কালজয়ী পাঁচ কবির কিংবদন্তী গানের আবেশে নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন এবং কাজী নজরুল ইসলাম এই পাঁচ কবির জন্মকালের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী পঞ্চ কবিকে উপস্থাপন করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা দেন ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্জ প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান।
কবি শফিকুল আলম শফিক, আলমগীর মালেক, সিরাজুদ্দৌলা বাহার, এবং মাহবুব অনিন্দ্য আবৃত্তি করেন স্বরচিত কবিতা।
সান্ধ্যপ্রদীপ সাংস্কৃতিক একাডেমি উপস্থাপন করে রাজশাহী অঞ্চলের প্রচলিত ও জনপ্রিয় লোকগীতি গম্ভীরা। পরে জনপ্রিয় কার্তিক দাস বাউল ও তার দলের পরিবেশিত লোকগীতির মধ্য দিয়ে আজকের অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিনের সমাপ্তি ঘটে রাত সাড়ে ৮টায়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক এ উৎসবে আয়োজন করা হয়েছে বইমেলাও। চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত। বইমেলায় বেহুলাবাংলাসহ ২৫টি স্টল অংশ নিয়েছে।
দিনভর মেলা ফাঁকা থাকলেও বিকেলের পর থেকেই ক্রেতা, দর্শনার্থী আর পাঠকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দর্শনার্থীরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছেন। হাতে নিয়ে পড়ে দেখছেন। কিনছেন পছন্দমতো বই।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পৃষ্ঠপোষকতায় রোববার (১৭ মার্চ) থেকে নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় এ উৎসব শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এসএস/এএটি