আগামী শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার ষষ্ঠ দিন অনুষ্ঠিত হবে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম শিশুপ্রহর। এদিন বেলা ১১টা থেকে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বইমেলার দ্বার।
শিশুপ্রহর উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুচত্বর সাজানো হয়েছে শিশুতোষ বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল দিয়ে। সেগুলোতে বই সাজানোর পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্যও তৈরি করা হয়েছে আলাদা মঞ্চ। সকালে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শিশুদের প্রিয় চরিত্র ‘হালুম, ইকরি, টুকটুকি আর শিকু’র। প্রিয় চরিত্রের সঙ্গে সময় পার করে এ চত্বর থেকেই শিশুরা কিনতে পারবে নানা রকম বই।
এ প্রসঙ্গে শিশুতোস প্রকাশনী ঝিঙেফুলের প্রকাশক গিয়াসউদ্দীন খান বাংলানিউজকে বলেন, অন্য বারের তুলনায় এবারের শিশুপ্রহর ভালো হবে বলেই আশা করছি। এবার মেলার পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি বেড়েছ শিশুচত্বরের পরিসরও। সকাল থেকেই অভিভাবকের হাত ধরে শিশুদের উচ্ছ্বাসে বইমেলা মুখর হবে বলেই আশা করছি।
তিনি জানান, এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঝিঙেফুলসহ অধিকাংশ প্রকাশনীই বই প্রকাশে বঙ্গবন্ধুকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে ছড়া, কবিতা, গল্প, রূপকথাসহ বিভিন্ন ক্লাসিক বই। আর তার সবগুলোতেই শিক্ষামূলকভাবে তুলে ধরা হয়েছে কোনো না কোনো বার্তা।
শিশুপ্রহর সম্পর্কে মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের জন্য এবার শিশুচত্বর বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। শিশুচত্বরকে এবার শিশু-কিশোরদের জন্য সজ্জিত করা হয়েছে বিনোদন ও শিক্ষামূলক আঙ্গিকে। এছাড়া শিশুপ্রহরের দিনগুলোতে ‘তারুণ্যের বই’ ব্যানারে শিশু-কিশোরদের বই পাঠে উৎসাহিত করা হবে।
এদিকে অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় আয়োজন করেছে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকালে বইমেলার মূল মঞ্চে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এইচএমএস/আরবি/