মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ, জনসংযোগ উপ-বিভাগের কর্মকর্তা পিয়াজ মজিদ, স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর প্রমুখ।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা একুশের চেতনা বাস্তবায়নে শুরু হয়। এর কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ ছিল না। যে কারণে একবার টিকিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, সেটি বাতিল করা হয়।
গ্রন্থমেলার সময় মৌসুমী প্রকাশকদের আনাগোণা বাড়ে, প্রকাশকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি ভালো বইও যদি কোনো প্রকাশনী করে তারা মেলায় স্টল বরাদ্দ পাবে। কিন্তু প্রকাশকরা বলছেন, মৌসুমী বা নতুন প্রকাশনীর কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটা বলা বাণিজ্যিক বিষয়। এ মেলা প্রকাশকদের ব্যবসার জন্য নয়।
‘স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরের নেতৃত্ব গত দুই বছরে আমরা মেলার চরিত্র বদলেছি। সামনের বার থেকে মেলায় প্রকাশিত বইয়ের চরিত্র বদলে দেব। ’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের মেলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার নতুন বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’। যাকে ঘিরে পাঠকের বিপুল আগ্রহ আমাদের আনন্দিত করেছে। একইসঙ্গে বাংলা একাডেমি পরিকল্পিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক শতগ্রন্থের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের মেলায় শিশু-কিশোরদের গুরুত্বের কেন্দ্রে রেখে পরিবেশ সৃষ্টিতে আরও তৎপর হয়েছি। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ইতোমধ্যে সম্পন্ন শিশু-কিশোর আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ ও সংগীত প্রতিযোগিতায় এদেশের শিশু-কিশোরদের যে প্রাণবন্ত ও বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, তা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
‘আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতাগুলোর ফলাফল দেওয়া হবে। এই শিশু-কিশোরদের মাঝেই লুকিয়ে আছে আগামীদিনের সেরা পাঠক। ’
তিনি আরও বলেন, গত বছর থেকে আমরা সমাপনী আয়োজনে যে নান্দনিকতার সংযোগ ঘটিয়েছি, এ বছরও সে ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে। এছাড়াও একুশের দিনে সকাল সাড়ে ৭টায় মেলার মূলমঞ্চে কবিতাপাঠের আয়োজন ও বিকেল ৪টায় ‘অমর একুশে বক্তৃতা ২০২০’ আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
ডিএন/টিএ