বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আবুল কাসেম রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ও চা-শিল্প’ শীর্ষক আলোচনা। এই আয়োজনেই উঠে আসে এমন তথ্য।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দীপংকর মোহান্ত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মেসবাহ কামাল ও মোকারম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।
প্রাবন্ধিক বলেন, জাতীয়তাবাদী ও জনমুক্তির নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অন্তরের গহীনে অবহেলিত চা শ্রমিকদের দীর্ঘশ্বাসের স্পন্দন প্রতিধ্বনি হতে শোনা যায় নানাভাবে। ১৯৫৬ সালে চা-শ্রমিকদের হাত ধরে তিনি প্রথম বলেছিলেন, ‘তোমাদের দুঃখের সব খবরই রাখি। এসব দুঃখ দূর করার জন্য আমরা খুবই চেষ্টা করব’।
আলোচকরা বলেন, চা-শিল্প ও বঙ্গবন্ধু গ্রন্থে শ্রমিকদের সঙ্গে জাতীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সে প্রেক্ষাপট বিশদভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি অবহেলিত চা জনগোষ্ঠীর প্রতি যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিলেন- তা আজ জাতীয় ইতিহাসের গৌরবজনক অংশ।
গ্রন্থের লেখক বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এ বইয়ের ভাবনা। আশা করি এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটি ব্যতিক্রমী দিক মানুষের কাছে স্পষ্ট হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের চা-শিল্পের বিকাশে এবং চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে তার অবদান কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয়।
আলোচনা শেষে ছড়াপাঠের আসরে ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার আখতার হুসেন, ফারুক নওয়াজ, সুজন বড়ুয়া, খালেক বিন-জয়েন উদ্দিন, মাহমুদ উল্লাহ এবং সৈয়দ আল ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এইচএমএস/টিএ