কবিতার এ বইটি বাজারে এনেছে প্রকাশনা সংস্থা- প্রিন্ট পোয়েট্রি। এর প্রচ্ছদ শিল্পী- রাজীব দত্ত।
এ বইয়ের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা হামেদী বলেন, নব্বই দশক পরবর্তী সমসাময়িক গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতির কাব্যরূপ ‘শেমিজের ফুলগুলি’। এখানে গ্রাম কবির জীবনদর্শন ও রাজনৈতিক অভীপ্সার প্রকাশ হিসেবে এসেছে। কবিতাগুলি সতেজ ও সুরললিত। টানা গদ্যের নতুন একটি ধরন এখানে নিরীক্ষা করা হয়েছে। তিন ফর্মার বইটিতে কবিতা আছে ঊনচল্লিশটি।
‘শেমিজের ফুলগুলি বইটি আমার এক টুকরা হরিৎ হৃদয়, যাকে কুড়িয়ে পেয়েছি এই ভূ-বাংলার পথে-ঘাটে, ঘরের আড়া ঠেলে রোদ জবজবে উঠানে, অনতিদূর গ্রাম্য জঙ্গলে, ঘাটকূলে। চারিদিকে প্রভূত অস্থিরতার মাঝে এ আমার এক দাঁড়ানোর জায়গা, যেখানে অনুভব করতে পারি নীরবতার সৌন্দর্য, প্রকৃতির প্রগাঢ় মর্মরধ্বনি। ’
একই প্রসঙ্গে এ কবি আরও বলেন, এ বইয়ের কবিতাগুলা আমার এক বিশেষ গ্রামদর্শন। গ্রামেই থাকি। গ্রামকেই পড়ি। বহুবছর আগে খেয়াল করে দেখছিলাম যে, এখনও গ্রামসমাজ-গ্রামপ্রকৃতি আমাদের নানাভাবে চালিত করে চলেছে। সেইটা আমাদের কবিতায় (বাংলা) বহুদিন যাবত উদ্দেশ্যমূলকভাবে উহ্য হয়ে থাকতেছে। আমি ভাবলাম এই জায়গাটায় কাজ করি। এই বই সেই কাজেরই একটা পর্যায়। কবিতার কলোনিয়াল ব্যারামকে নিরাময়ের এইটা আমার একটা পদ্ধতি। ঠিক টানা গদ্য নয়, টানা গদ্যের রাশ টেনে টেনে নিজের মতো করে একটা ভঙ্গী ধরলাম। এটাই এই বইয়ের ফর্ম।
এর আগে মোস্তফা হামেদীর প্রকাশিত কবিতার বইগুলো হলো- মেঘ ও ভবঘুরে খরগোশ, (কা বুকস), তামার তোরঙ্গ (জেব্রাক্রসিং) ও জড়োয়া (তবুও প্রয়াস, নদীয়া, ভারত)।
মোস্তফা হামেদীর জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৭ আগস্ট চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের দেইচরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করে বর্তমানে তিনি নোয়াখালী সরকারি মুজিব কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এইচজে