এটি মেলায় এনেছে প্রকাশনা সংস্থা- বিদ্যানন্দ। প্রচ্ছদ করেছেন- কাজী যুবাইর মাহমুদ।
এ উপন্যাসিকার প্লট সম্পর্কে জানতে চাইলে জয়ন্ত জিল্লু বলেন, আনজুমান এক কিশোর চরিত্র। এই চরিত্র মূলত প্রেম আর প্রেমের আবহের। বইটি শুরু হয় হারবাং থেকে শাপলা তুলে বাড়ি ফেরার দৃশ্য দিয়ে। সে সময় আনজুমান নায়কের কাঁধে চড়ে কুতুবদিয়ার বাতিঘর দেখতে চান। এ গল্প মূলত পাহাড়ি জনপদে বেড়ে ওঠা শৈশবের। বাজারে সওদা করতে যাওয়া, রাত্রির আঁধারে খাল থেকে বালি তোলা, ভূতে ভয় পেয়ে মূর্ছা যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া হাঁস খোঁজা, মক্তবে পড়তে যাওয়া, লাকড়ি কাটতে যাওয়া, জোঁকে ধরা শরীরে শাপলা তুলতে যাওয়াসহ বিভিন্ন গল্প উঠে এসেছে আনজুমান বইটিতে।
বই প্রকাশের অনুভূতি জানতে চাইলে লেখক বলেন, আনজুমান আমার দরদের বই। আমি আমার হারিয়ে ফেলা শৈশবটা আনজুমানের ভেতর দিয়ে খুঁজে পাই। যদিও বই প্রকাশ নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ এখন কাজ করে না, তবু মনে হয়, এই বইটা একবার পড়ে দেখা যায়। ভালো কিনা জানি না, তবে ভাবি, বিষয়টা খারাপ না।
জয়ন্ত জিল্লুর পূর্ব-প্রকাশিত কবিতার বইগুলো হলো- পৃথিবীর কোথাও রাস্তা দেখি না, ছায়াশরীরের গল্প, ক্যালেন্ডার সিরিজ ও সাকিয়া সিরিজ।
জয়ন্ত জিল্লুর জন্ম ১৯৮৭ সালের ১০ অক্টোবর কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার জারুলবনিয়া গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন আইন বিষয়ে। বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম জজ কোর্টে কর্মরত। এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের দিশারী চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
এইচজে