বইটি প্রকাশ করেছে- বৈভব। প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষ।
নতুন এ কবিতার বই নিয়ে জানতে চাইলে আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, গত প্রায় তিন বছর ধরে লেখা কবিতা নিয়ে আমার এ কবিতার বইটি। এতে মোট ৪৯টি কবিতা আছে। শুরু থেকেই আমার কবিতার থিম- কেন্দ্রচ্যুত মানুষের বিচূর্ণ অনুভূতি, জীবন-মৃত্যু, স্বপ্ন ও বাস্তবতার অসমাপ্ত ভ্রমণ। তাই আমার কবিতা- বহুস্তর বিশিষ্ট। সেই সূত্রে আমার কবিতাকে কেউ কেউ কখনো বিমূর্ত বা পরাবাস্তবতার টেক্সচারে রচিত বলে মনে করতে পারেন। আসলে তা নয়।
‘ভাষা আমার কাছে শুধুমাত্র অতি সরল রৈখিক বা অ্যাবসার্ড চিন্তাভাবনা প্রকাশের বাহন নয়, খেলাও নয়। ভাষা আমার কাছে আমার নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, মানুষ ও রাজনীতির মধ্যে একটা সংশ্লেষণের টুল। হয়তো সেখান থেকেই আমার কবিতায় যুগপৎ বিস্ময় আর বেদনাবোধের একটি চিকন স্রোত লক্ষ্য করা যায়। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আমার কবিতা ডিপ ইমেজেরি, চকিত ইশারা, ভাবনার বিচিত্র রূপ ও রসে ক্রীড়ারত। তাই ছন্দটা মূলত দেহ-ছন্দ, কবিতা আপনিতেই দোলায়িত। অবশ্য অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লিখিত কিছু কবিতার সাথে, এই প্রথমবারের মতো আমি কিছু মাত্রাবৃত্তের কবিতা লিখেছি এ বইটিতে। ’
এর আগে আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহর প্রকাশিত বইগুলো হলো- কবিতা: কবিতাসংগ্রহ [মেঘ, ২০১৯), সিজদা ও অন্যান্য ইসরা [চৈতন্য, ২০১৬], ক্রমশ আপেলপাতা বেয়ে [চৈতন্য, ২০১৫], নো ম্যানস জোন পেরিয়ে [শুদ্ধস্বর, ২০১২], জল্লাদ ও মুখোশ বিষয়ক প্ররোচনাগুলি [নিসর্গ, ২০১২], শাদা সন্ত মেঘদল [নিসর্গ, ২০১১], গানের বাহিরে কবিতাগুচ্ছ [নিসর্গ, ২০১০], পলাশী ও পানিপথ [নিসর্গ, ২০০৯], বাল্মীকির মৌনকথন [জুয়েল ইন্টারন্যাশনাল, ১৯৯৬], শীতমৃত্যু ও জলতরঙ্গ [জুয়েল ইন্টারন্যাশনাল, ১৯৯৫]; গদ্য: কবিতার ভাষা [চৈতন্য, ২০১৬], গল্প: বন্ধুর মৃত স্ত্রী [মেঘ ২০১৯)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি এ অনার্স এম এ করা আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ ১৯৬৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক ঠিকানা রায়পুরা নরসিংদী, বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকার হাজারিবাগে। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। পেশা: সরকারি কলেজের ইংরেজির শিক্ষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
এইচজে