বলছিলাম তামিম, সুমনা আর নীলিমার কথা। তারা তিন বন্ধু রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
কথা হলে সুমনা আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই বইমেলায় আসবো বলে ভাবি, কিন্তু আর আসা হয় না। স্কুল শেষ করেই বাড়ি ফিরতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে চলেই এলাম বইমেলা। এখানে কত বই। যেন একটা বিশাল বড় লাইব্রেরি। এখানে না আসতে পারলে কি শান্তি লাগে!
নীলিমা হক বলেন, আমাদের অনেক বন্ধুই বইমেলা ঘুরে গেছে। অনেক বইও কিনেছে তারা। তবে আমি এবার আজকেই প্রথম এলাম। বেশকিছু বই কেনার ইচ্ছে আছে। আর তার থেকেও বড় কথা বইমেলায় আমাদের মত শিক্ষার্থীদের অধিকারইতো সবচেয়ে বেশি।
শুধু নীলিমা, সুমনা বা তামিম নয়, অনেক বাবা-মাও সন্তানের স্কুল শেষ হলে তাদের হাত ধরে নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। তারা চান বইয়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা বাড়ুক আরও বেশি করে।
এদিকে প্রকাশকরাও চান গ্রন্থমেলায় ভিড় বাড়ুক শিক্ষার্থীদের। কেননা গ্রন্থমেলার একটি বড় অংশ তারা। মোবাইল বা কম্পিউটারের ছোট্ট স্ক্রিনের বাইরে এসে বইয়ের প্রতি আগ্রহী হোক নতুন প্রজন্ম, লেখক আর প্রকাশকরাও চান তেমনটিই।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মেলায় এসে একই সুরে বলেন লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, বাবা-মাকে বলবো, আপনারা একটু বাচ্চাদের হাতে টাকা দিন, ওরা বই কিনুক। উৎসাহ দিন বই পড়ার জন্য। বাচ্চাদের ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন, ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন, স্ক্রিন থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন। স্ক্রিন হচ্ছে একমুখী, সে আমাকে দেয়, আমি কিছু দিতে পারিনা। কিন্তু বই তো একমুখী না। আমি যখন বই পড়ি তখন কল্পনা করি, চিন্তা জাগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এইচএমএস/এবি