রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত মুর্শিদা বিন্তে রহমান রচিত ‘স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধু: পরিপ্রেক্ষিত ১৯৭০-এর নির্বাচন’ শীর্ষক গ্রন্থের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে একটি জাতিকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যাওয়া।
গ্রন্থ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ শফি। আলোচনায় অংশ নেন আখতার হুসেন, মাহবুব সাদিক এবং আলম খোরশেদ। এছাড়াও বইটির লেখক মুর্শিদা বিন্তে রহমান আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠে মুস্তাফিজ শফি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই গভীর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন শোষকের বিরুদ্ধে নিরলস নেতা হিসেবে। জেল, জুলুম, হুলিয়া সত্ত্বেও তিনি মুক্তির মন্ত্র ছড়িয়েছেন মানুষের মধ্যে। নিজে প্রস্তুত হয়েছেন, জাতিকে প্রস্তুত করেছেন স্বাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য।
তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছিল বিস্ময় ছড়িয়ে। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্য স্বাধীনতাকামী ও জাতির অনুপ্রেরণার নাম, মুক্তির মন্ত্র।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৭০-এর নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি অধ্যায়। বাঙালি জাতির স্বাধিকার আদায়ের পথে বঙ্গবন্ধুর দুরূহ অভিযাত্রায় জনগোষ্ঠী যে কতটা নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিল তা প্রতিফলিত হয় ৭০-এর নির্বাচনের মাধ্যমে। স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিতে ৭০-এর নির্বাচনের প্রভাব নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক বিচার বিশ্লেষণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আলোচ্য গ্রন্থে লেখক বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য, ভাষণ, নানা তথ্য উপাত্ত এবং দুর্লভ চিত্র সংযোজনের মাধ্যমে একে গবেষণাধর্মী গ্রন্থের পর্যায়ে উন্নীত করেছেন।
আলোচনায় গ্রন্থের লেখক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার জনগণের মনস্তত্ত্ব থেকে ‘পাকিস্তান’ প্রত্যয় মুছে ফেলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রত্যয় তৈরি করতে সক্ষম হন। এর ফলশ্রুতিতেই ৭০’র নির্বাচনে জনগণ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন ঢেলে দেয়।
আলোচনা শেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি শামীম আজাদ, ফেরদৌস নাহার, আমিনুর রহমান সুলতান, মুস্তাফিজ শফি, প্রত্যয় জসীম এবং সঞ্জীব পুরোহিত। সংগীত পরিবেশন করেন অপর্ণা খান, মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, ডালিয়া সুলতানা, সুমন চন্দ্র দাস, মো. নূরুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ এবং সৈয়দা কবিতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এইচএমএস/এবি