রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলার জার্নিম্যান বুকসের প্যাভিলিয়নে বইটির উন্মোচন করা হয়। এসময় একই প্রকাশনী থেকে বেরুনো তারিক সুজাতের ‘সুরের পথে একলা হাঁটি’ কাব্যগ্রন্থ এবং নাজনীন হক মিমির ‘৬৯-এর শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ সময় তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণসসহ একাত্তরের মার্চ মাসের নানা ঐতিহাসিক ঘটনাকে মেলে ধরেছি এই বইয়ে। এর মাধ্যমে আমাদের ইতিহাসের দলিলকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। একাত্তরের ১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত নানা ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসে বইটিতে।
তিনি বলেন, একাত্তরের ১ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন একতরফাভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন। এমন নানা ঐতিহাসিক ঘটনাবলী সংযুক্ত হয়েছে গ্রন্থটিতে। তবে এ বইটি আমি নিজে লিখিনি। আমার বলা কথার ভিত্তিতে শ্রুতিলিখন করেছেন দুজন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। কথার সূত্র ধরে তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির এই দিনেই এক জনসভায় তোফায়েল আহমেদই শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের ইতিহাসের সঙ্গে পথ চলেছেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ সামাদ, প্রফেসর আবদুল মান্নান চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক। এসময় অপর দুই বইয়ের লেখক তারিক সুজাত ও নাজনীন হক মিমি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ডিএন/এবি