তিনটায় মেলার দ্বার খোলার পর থেকেই বিভিন্ন প্রকাশনীর সত্বাধিকারী ও স্টলের কর্মরতরা বৃষ্টি থেকে বই রক্ষায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেক প্রকাশনীর সামনেই প্রস্তুতি হিসেবে বড় বড় পলিথিন রাখা রয়েছে।
এ বিষয়ে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের প্যাভিলিয়নে কর্মরত মোমেনা খাতুন শিখা বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিবারই মেলাচলাকালে বৃষ্টি নামে। সে বিষয়টি মাথায় রয়েছে। যেহেতু সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, সেজন্য বৃষ্টির পানি থেকে বই বাঁচানোর প্রস্তুতি রয়েছে। ’
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; সিলেট, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টির প্রস্তুতির বিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আগেই প্রকাশকদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি বৃষ্টির বিষয়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা তাদের জানিয়েছি। তারা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানি।
বৃষ্টি হলে মেলা মাঠ থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে, বলেও জানান তিনি।
গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ ভারী বর্ষণে বিকেল তিনটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যায় ছয়টার কিছু পরে গ্রন্থমেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেলার সময়সীমা দুই দিন বাড়ানো হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারিও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অমর একুশে গ্রন্থমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ডিএন/জেডএস