বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত কামরুল হক রচিত 'বঙ্গবন্ধু ও সংবাদপত্র: ছয় দফা থেকে গণঅভ্যুত্থান' গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আয়োজনের সভাপতি কামাল লোহানী।
তিনি বলেন, ৬৬’র ছয় দফা থেকে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সময়ে সংবাদপত্রের ভূমিকা প্রতিফলিত হয়েছে 'বঙ্গবন্ধু ও সংবাদপত্র: ছয় দফা থেকে গণঅভ্যুত্থান' গ্রন্থে।
বিকেলের এ আয়োজনে প্রবন্ধ পাঠ করেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশ নেন মোরশেদ শফিউল হাসান ও হারুন হাবীব। লেখকের বক্তব্য দেন কামরুল হক।
প্রাবন্ধিক বলেন, গত শতকের ষাটের দশকে জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু যে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, এ দেশের মানুষ তার ভেতরেই তাদের আকাঙ্খাক্ষার প্রতিফলন দেখতে পায়। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা থেকে শুরু করে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনা ধারাবাহিকভাবে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
‘আলোচ্য সময়ে পূর্ববঙ্গের রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে ছয় দফা কেন্দ্র করেই। ঊনসত্তরে ছাত্রসমাজের ১১ দফা ছিল সেই ছয় দফারই সম্প্রসারণ ও পরিপূরক। ফলে সেদিন ছয় দফা ও এগারো দফার আন্দোলন একাকার হয়ে গিয়েছিল। ’
আলোচকরা বলেন, ১৯৬৬’র ছয় দফার সময় থেকে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সময়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময়কালেই বঙ্গবন্ধু জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত হন এবং স্বাধিকার আন্দোলনের পথে বাঙালিকে উজ্জীবিত করে তোলেন। সেই প্রবল ইতিহাস সৃষ্টিকারী সময়ে পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মূলধারার অনেক পত্রিকাই জাতীয়তাবাদী ভূমিকা নেয় এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে।
গ্রন্থের লেখক বলেন, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের রাজনৈতিক ঘটনা পত্রিকার সূত্র ধরে ধারাবাহিকভাবে উপস্থিত হয়েছে এ গ্রন্থে। বঙ্গবন্ধু জনগণকে কীভাবে সচেতন করেছেন, মানুষকে আন্দোলনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং চূড়ান্ত সফলতাস্বরূপ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, তৎকালীন সময়ে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো তার সাক্ষী হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এইচএমএস/এএ