বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৯ মার্চ)। এদিন মেলায় নতুন বই এসেছে ৫৫টি।
এ তথ্য জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
এসব বইয়ের মধ্যে গ্রন্থকুটির থেকে প্রকাশিত হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কবিতার বই ‘বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা’, আগামী প্রকাশনী থেকে মঈনুল আহসান সাবেরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘পাথর সময়’, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর রাজনীতি/কলাম বিষয়ক গ্রন্থ ‘শেখ কামাল আজ যদি বেঁচে থাকতেন’, অনন্যা থেকে হরিশংকর জলদাসের গল্পগ্রন্থ ‘পৌরাণিক গল্প’ এবং অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে মোশতাক আহমেদ সায়েন্স ফিকশন ‘দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড’ উল্লেখযোগ্য।
এদিকে বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুভাষ সিংহ রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আয়োজনে প্রাবন্ধিক বলেন, কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই এই ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তবু তার উচ্চারিত শব্দে কোনো দ্বিধা ও পুনরাবৃত্তি ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান প্রেরণা ছিল বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তো বটেই, স্বাধীনতার পরও সেই ভাষণ আমাদের প্রাণিত ও উজ্জীবিত করে চলেছে। এ ভাষণ হলো সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা।
আলোকচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ১৮ মিনিটের ভাষণটি তার স্বভাবসুলভ তাৎক্ষণিক বক্তব্য ছিল, আগে তৈরি করা বক্তৃতা নয়। এটি মূলত রাজনীতির কবিতা। এর মাহাত্ম্য ও বিরাটত্বের কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের অসাধারণ ভাষণটিকে পৃথিবীর অন্যতম ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর বলিষ্ঠ প্রত্যয় আছে এ ভাষণের বাক্যগুলোতে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বলিষ্ঠ ঘোষণা। এই ভাষণ মূলত বিন্দুতে সিন্ধু। মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনার এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা আসন্ন মুক্তির যুদ্ধে উপনীত জাতিকে সুসংগঠিত করেন এবং বিজয়ী প্রত্যয়ের প্রেরণা দেন। বস্তুত এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।
এদিকে বিকেলে বইমেলার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট লেখক রঞ্জনা বিশ্বাস, আশরাফ জুয়েল এবং মঈনুল হাসান।
শনিবার (২০ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিন মেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। মাঝে থাকবে দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিরতি। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে 'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২১
এইচএমএস/এএ