বইমেলা থেকে: রবীন্দ্রনাথ বাঙালিকে প্রায় সব দিয়েছে। ছড়িয়ে আছে আমাদের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে।
শনিবার (২৭ মার্চ) অমর একুশে গ্রন্থমেলার বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল ঘুরে দেখা যায়, সেখানে শোভা পাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাবলি। শুধু তাই নয়, তাদের নিয়ে বিভিন্নজনের বিভিন্ন আঙ্গিকে লেখা বইও শোভা পাচ্ছে বেশ।
সেগুলো একটু হাতে নেড়ে দেখলেই বোঝা যায়, এখনো রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল নানাভাবে আবিষ্কৃত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন, তাদের ঘিরে এখনো অপেক্ষা করছে নিত্যনতুন বিশ্লেষণ।
এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট হাজির হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের একাধিক গ্রন্থ নিয়ে। এগুলোর মধ্যে কবির বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ, সংগীত সংগ্রহ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, জাগরণী গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, পত্রাবলি, নাট্যসমগ্র, নজরুল সংগীত স্বরলিপিসহ কাজী নজরুল ইসলামের বইয়ের বিশাল এক সম্ভার। এছাড়া নজরুলকে নিয়ে বিভিন্ন লেখকের পর্যালোচনা, প্রবন্ধ, চর্চার ইতিবৃত্ত, নজরুল ভাবনাও ঠাঁই পেয়েছে এখানে।
নজরুল ইনস্টিটিউট স্টলের বিক্রয় কর্মীরা জানান, পাঠকরা এখনো অন্যান্য বইয়ের তুলনায় কাজী নজরুল ইসলামের বইয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, প্রবন্ধ, পত্রাবলির উপর তাদের আগ্রহ বেশি।
বাংলা একাডেমির বইয়ের তালিকাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করলেও দেখা যাবে, আলাদা বিশেষ অংশ আছে নজরুল এবং রবীন্দ্রবিষয়ক বই নিয়ে। তবে সেখানে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। রবীন্দ্রকাব্যে লোক উপাদান, সাধারণ মানুষ, গীতিনৃত্য, রবীন্দ্র নাট্যসঙ্গীত, চিঠি, বিজ্ঞানচেতনা, গ্রামোন্নয়নসহ এমন অজস্র বিষয় সেখানে খুঁজে পাবেন পাঠকরা।
এছাড়া মেলায় অনেক প্রকাশনার প্যাভিলিয়ন ও স্টলেও নজরুল ও রবীন্দ্ররচনায় পাশাপাশি লেখকদের নিয়ে নানা গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে। নতুন লেখকরা নানা দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের তুলে আনছেন।
এ বিষয়ে প্রকাশকরা বলছেন, যারা সত্যিকারের পাঠক, তারা ‘ক্লাসিক্যাল’ সাহিত্য পাঠ করেন। সেদিক থেকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। আর সকল শ্রেণির মানুষেরই এগুলো পাঠের আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২১
এইচএমএস/কেএআর