ঢাকা: প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য উন্নতির কারণে মুদ্রিত বই পত্রের ভবিষ্যত ভালো নয় মনে হলেও তা সঠিক নয়। ই-বুক ছড়িয়ে পড়লেও মুদ্রিত বইয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমেনি।
বুধবার (২ মার্চ) অমর একুশে বইমেলা ঘুরে এমনটাই বলেন বিভিন্ন পাঠক ও প্রকাশক। বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথা হয় ধানমন্ডি থেকে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান ও তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে আফসানা আফরিন দিশার সঙ্গে।
কথা হলে মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গভীর মনোযোগ দিয়ে আপনি যখন একটি বই পড়ার জন্য হাতে নিবেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক কল্পনাজগত ও আবেগগুলোর সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শের কারণে জীবন্ত হয়ে উঠবে আপনার ইন্দ্রিয়গুলো। নতুন বা পুরনো বইয়ের ঘ্রাণ আপনাকে টেনে নেবে বইটির গভীরে, যা মনোযোগকে আরো গাঢ় করে দেয়। আর আমাদের দেশের প্রকাশনাগুলো এখনো তো তাদের সকল বই ডিজিটাল ফরমেটে আনতে পারেনি, তাই সেদিক থেকেও মুদ্রিত বইয়ে একটা নির্ভরশীলতা আছে।
আফসানা আফরিন দিশা বলেন, মোবাইল বা ল্যাপটপে ডিজিটাল ফরমেটের বইয়ের সুবিধা হলো সহজলভ্যতা। ইন্টারনেটে সার্চ করে খুব সহজেই বিশ্বের যেকোনো বই খুব দ্রুত পাওযা যায়। তবে মুদ্রিত বইয়ের ঘ্রাণ সুন্দর, অনুভব করা যায়, একটা মাদকতা কাজ করে।
বিভিন্ন লেখকের মতেও, মুদ্রিত বইয়ের চাহিদা সবসময়ই থাকবে। ই-বুকের দিকে কিছু তরুণ পাঠকের দৃষ্টি থাকলেও মুদ্রিত বই কখনো বিলুপ্ত হবে না। আর একই মতো প্রকাশকদেরও।
এ প্রসঙ্গে সাহিত্যদেশ প্রকাশনীর প্রকাশক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার মধ্যে অনেকেই ডিভাইসের প্রতি ঝুঁকে গেলেও তারা এখনন বইয়ের প্রতি ঝুঁকছেন। সেদিক থেকে ই-বুক মুদ্রিত বইয়ের উপর কোন প্রভাব ফেলবে বলে আপাতত মনে করছি না। আর কাজের সূত্রে বা কোন বই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে হলেও পাঠককে মুদ্রিত বইয়ের কাছেই ফেরা লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এইচএমএস/এনটি