ঢাকা: বিকেলের রোদ পড়ে গেছে। বইমেলায় আসতে শুরু করেছেন বইপ্রেমীরা।
যতই করোনার চোখ রাঙানো থাক না কেন, মেলা ঘিরে বইপ্রেমীরা মিলেছে প্রাণের স্পন্দনে। প্রতিবছরই দলে দলে বইপ্রেমীরা ছুটে আসেন অমর একুশে বইমেলায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের গন্তব্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি। সবার হাতে হাতেই বই। বিকেলে হয়তো পাঠককূল দেখা পান তার প্রিয় লেখকদেরও।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলার প্রথম প্রহরে অনেকে এসেছেন। পাঠকরা এসে খুঁজছেন বই। অনেকেই ব্যাগ ভর্তি করে বই কিনেছেন। স্টলে স্টলে ঘুরছেন কেউ কেউ। এরপর একটু বিশ্রাম নিতে বসছেন মেলার মাঠের বেঞ্চ বা জলাধারের পাড়ে। অনেকেই জলে পা ডুবিয়ে নিচ্ছেন বইয়ের ঘ্রাণ।
আরিফা হোসেন নামে মেলায় আগত এক পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, করোনার মধ্যেও এবার মেলা হচ্ছে। বেশ কিছু বই কিনবো বলেই মেলায় আসা। সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গেও একটু আড্ডা দেওয়া হবে। আর জলাধারে বসে জলে পা ডুবিয়ে বই পড়ার অনুভূতিও মিস করতে চাই না।
বইমেলা আবেগের জায়গা, একটা ভালোবাসার জায়গা। সব ধরনের বই এখানে পাওয়া যায়। শুধু কি বই, বরং এই মেলা একটি সাংস্কৃতিক মেলাও বটে। তাই সংস্কৃতিমনা সকলেই আসেন এখানে সময় কাটাতে।
এ বিষয়ে লেখক ঝর্ণা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলা যে শুধু বইয়ের মেলা তা নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক মেলা। এখানে সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের মানুষ আসেন। তাদের মধ্যে ভাবের বিনিময় হয়। আমরা সকলেই এখান থেকে উপকৃত হই।
আর ‘মা সেরা প্রকাশন’ এর প্রকাশক দেওয়ান মাসুদা সুলতানা বলেন, মেলার প্রথম প্রহরে দর্শনার্থীর সংখ্যা যেন একটু বেশি। মেলার সময় বাড়ানোর পর মাঝের এই সময়টাতে পাঠকদের আগমন কিছুটা কমেছে। তবে শেষের দিকে পাঠকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা রাখি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এইচএমএস/এনএসআর