খুলনা: ধীরে ধীরে জমে উঠেছে খুলনার অমর একুশে বইমেলা। সময়ের সঙ্গে মেলায় বাড়ছে বইপ্রেমীদের ভিড়।
বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) মেলার সপ্তম দিনে দেখা যায়, বইপ্রেমীদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। ভিড়ও আগের চেয়ে অনেক বেশি। প্রাণের মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলেন সবাই। এর মধ্যে বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় এসেছে শিশুরা। রঙ-বেরঙের বইয়ের প্রতিই সব মনোযোগ তাদের।
স্টল মালিকরা বলেন, বইমেলায় জনসমাগম দিন দিন বাড়ছে। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন। সংখ্যায় কম হলেও বই কিনছেন অনেকেই। শেষের দিকে বই বিক্রি আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
আফিয়া বুক সেন্টারের কে এম তুহিন বাবু বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় এখন পর্যন্ত বইয়ের বিক্রি ভালো। দিন যত যাচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এটা আরও বাড়বে। এবার ছোটদের বই, গল্প, উপন্যাস ও ইসলামী বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। বাড়ছে বই ক্রেতার সংখ্যাও।
বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়, খুলনার উপ নিবন্ধক ফারহানা আফরোজ বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলা হলো প্রাণের মেলা। এখানে এসে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। তাই সময় পেলেই মেলায় চলে আসি।
খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষে মেলার ফোকাল পারসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিকুর রহমান খান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বইমেলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছেন। যে কারণে জমে উঠেছে এবারের মেলা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি স্কুল, দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও একটি আবৃত্তি সংগঠনের পরিবেশনায় মেলার মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
তিনি জানান, এবারের মেলায় প্রকাশনা সংস্থা, বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরির ৯৫টি স্টল রয়েছে।
এছাড়া ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উম্মুক্ত থাকছে বইমেলা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বয়রার বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার চত্বরে ২১ দিনব্যাপী এই বইমেলা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এমআরএম/এনএসআর