ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: মোহাম্মদ আবদুল কাইউম ও বশীর আল হেলাল’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসান হাফিজ।
প্রাবন্ধিক বলেন, মিতভাষী সংযত ও সংহত চরিত্রের অধিকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাইউম ছিলেন নির্মোহ ও নির্লোভ মানুষ। বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, অভিধানবিদ, পুরনো বাংলা পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। নিরহঙ্কার, সহজ-সরল মানুষটি শিক্ষক হিসেবে এক সম্মানজনক স্থান করে নিয়েছিলেন। অন্যদিকে বিশিষ্ট গবেষক ও জীবনবাদী কথাশিল্পী বশীর আল হেলাল একাধারে গবেষক, অনুবাদক, কথাশিল্পী, ইতিহাসবিদ, শিল্পসাহিত্যিক। তিনি আজীবন সাহিত্য-সংস্কৃতির সাধনায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। ভাষা-আন্দোলন বিষয়ে তার গবেষণাগ্রন্থ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পাঠক-গবেষকদের কাছে অতি মূল্যবান আকর গ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত।
আলোচকরা বলেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাইউম ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন গবেষক। গবেষণার নিজস্ব একটি জগৎ নির্মাণ করে নিজ কর্মের ভেতর নিবিষ্ট থেকেছেন সারা জীবন। বিশিষ্ট সাহিত্যসাধক বশীর আল হেলাল জীবনের নিগূঢ়তাকে সাহিত্যে তুলে ধরেছেন। সমাজ জীবনের বেদনা, পীড়ন, নিগ্রহ এসব তার সাহিত্যে নতুন মাত্রিকতা লাভ করেছে। তাদের কাজের ব্যাপ্তি, গভীরতা ও মাত্রিকতার যথার্থ স্বীকৃতিদান একান্ত কর্তব্য।
সভাপতির বক্তব্যে মোরশেদ শফিউল হাসান বলেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাইউম ও কথাসাহিত্যিক বশীর আল হেলাল দু’জনেই ছিলেন নির্মোহ, নিভৃতচারী এবং একনিষ্ঠ গবেষক ও জ্ঞান-সাধক। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারা দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের জীবনী ও রচনাবলী প্রকাশ করে তরুণ সমাজের হাতে তুলে দিতে পারলে তা হবে আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।
বিকেলে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন মারুফ রায়হান ও টোকন ঠাকুর।
আজকের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জরিনা আখতার ও রহিমা আখতার কল্পনা। সংগীত পরিবেশন করেন খায়রুল আনাম শাকিল, লীনা তাপসী খান, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, কামাল আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, শাহনাজ নাসরিন ইলা, মো. হারুনুর রশিদ ও সুমন মজুমদার।
আগামী শুক্রবার (৪ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার ১৮তম দিন। মেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এইচএমএস/আরবি