ঢাকা: আরশিয়ার বয়স মাত্র দেড় বছর। তবে বাবা তাকে এখনি নিয়ে চলে এসেছে বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায়।
শুক্রবার (৪ মার্চ) বই মেলার শিশু প্রহরে আসা প্রায় সকল শিশুই বুদ হয়ে ছিল নতুন বইয়ের মধ্যে। কয়েকজনকে তো আবার রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটার সময়ও বই পড়তে পড়তেই হাটতে দেখা গেলো।
কথা হলো বইমেলায় আসা ছোট্ট নেহার সঙ্গে। চার বছরের নেহার চোখ তখন রাস্তার পরিবর্তে বইয়ের গল্পে। বাবার কাছে অবশ্য বকুনিও খেয়েছে সে একটু। তবু চোখ ওঠেনি বই থেকে।
কথা হলে অবন্তি বলে, এ বইটা আমি হালুম আর ইকরির দোকান থেকে কিনেছি। এ গল্পগুলো আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।
কথা হয় আরশিয়ার বাবা রেজওয়ান হাসান ফাহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গ্রন্থমেলায় শিশুদের জন্য একটা আলাদা প্রহর সত্যিই অনেক চমৎকার ব্যাপার। এখানে অন্যদের থেকে শিশুদের অধিকারটা বেশি। তারা ইচ্ছেমতো এই সময়টা উপভোগ করতে পারে। আর ছোট থেকেই বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই ওকে বইমেলায় নিয়ে আসা।
আরেক অভিভাবক সীমা খন্দকার বলেন, মেলায় এসে শিশুরা এই ছোট্ট বয়স থেকেই যেভাবে বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, তা তাদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে সহায়তা করবে। শুধু বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট বইটা তাদের হাতে তুলে দিতে পারলেই হলো। কেননা তারা বইয়ের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহী।
মেলা ঘুরেও তেমন তথ্যই মিললো। শিশুবেলা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা ইমরান হাসান জানান, বইয়ের বিক্রি তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো। অভিভাবকেরাও তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিভিন্ন বিষিয়ভিত্তিক দারুন সব বই।
ঝিঙেফুল প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ছোট্ট শিশুরা তো পড়ার তুলনায় দেখার ওপর বেশি আগ্রহী। সে জন্য কার্টুনের বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে থেমে নেই তথ্য ভিত্তিক আর গল্পের বইগুলোও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস