ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

কার্টুনের থেকে বেশি ভালো বইয়ের গল্প

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
কার্টুনের থেকে বেশি ভালো বইয়ের গল্প ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আধুনিকতার ছোঁয়া লাগা ডিজিটাল এই দেশে ঘরে ঘরে কম্পিউটার আছে, ইন্টারনেট আছে। আরও আছে স্মার্টফোন, ইউটিউব, ফেসবুক।

চাইলে যেকোনো সময়ই দেখা যায় কার্টুন, নেওয়া যায় বিনোদন। তবুও বই কেন?

এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে যখন অনেকেই হিমশিম, তখন বেশ মিষ্টি করে শুদ্ধ জবাব দিলো চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শুদ্ধিতা।

তার মতে- কম্পিউটার বা মোবাইলে চোখের ক্ষতি হয়। বইয়ে সেটি একদমই নেই। আর কার্টুন যত সুন্দরই হোক না কেন, তার থেকে বেশি ভালো বইয়ের গল্প। এসব গল্প পড়ার সময় কেমন একটা কল্পনার জগৎ তৈরি হয়, সেটা ভীষণ মজার। কিন্তু ইউটিউব বা কার্টুনে তেমনটা হয় না। তাই বই-ই বেশি পছন্দের।

শুদ্ধিতা রাজধানীর মিরপুর-১২ এর কসমো স্কুলের শিক্ষার্থী। শনিবার (১২ মার্চ) সকালে সে বইমেলা এসেছিল তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক আর অন্য বন্ধুদের সঙ্গে। কিনেছে ‘লাল পুতুল ও নীল পুতুল’ গল্পের বই।

সকালে বইমেলা আসা আরেক শিশুপাঠক মানহা জানালো- বই পড়তে বেশি মজা। সঙ্গে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ সবথেকে বেশি মজার।

এদিকে অভিভাবকরাও বলছেন ভিজ্যুয়ালাইজেশনের তুলনায় বইয়ে কল্পনাশক্তি প্রখর হয় শিশুদের। এ বিষয়ে কসমো স্কুলসহ মেলায় আসা আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, মানুষের দ্রুততম বিকাশ হয় শৈশবের শুরুতে। শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি, আবেগ, সামাজিক যোগাযোগ শিশুদের বিকাশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোকে ঘিরেই তার মস্তিষ্ক বিকশিত হয়। আর শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বা মস্তিষ্ক বিকাশে একটি ভালো পদ্ধতি হলো বই পড়া। একটি গল্প ভালোভাবে বুঝতে হলে গল্পের চরিত্রগুলোকে ভালোভাবে মনে রাখা দরকার হয়। আনন্দদায়ক গল্পগুলো শিশুরা দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারে, ফলে স্মৃতি ধারণের শক্তি প্রখর হয়।

শিশুদের বিভিন্ন বইয়ের প্রকাশরাও বলছেন প্রায় একই কথা। সার্বিক বিষয়ে শিশুচত্বরের ‘মেলা প্রকাশে’র প্রকাশক এমএস দোহা বলেন, এবারের মেলাকে ইতিবাচক মেলা বলা যায়। করোনার মধ্যে অনেকেই ডিভাইসের প্রতি ঝুঁকে গেলেও তারা এখন বইয়ের প্রতি ঝুঁকছেন। এটা ভালো দিক। বিশেষ করে এতে শিশুদের ভালোটাই হবে।

সকালে শিশু প্রহরে দেখা যায় জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের চরিত্র টুকটুকি, ইকরি, হালুম ও শিকুদের উপস্থিতি। শিশু-কিশোররাও তাদের সঙ্গে মেতে ওঠে নানা খুনসুটিতে। গানের তালে তালে জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গে মজা করে শিশু-কিশোররা। আর এ ধরনের আয়োজন শিশুদের মেধা বিকাশে সহায়ক হবে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।

আর বিভিন্ন শিশুতোষ স্টল ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমিকস, রূপকথা, গল্প, সায়েন্স ফিকশন, অঙ্ক নিয়ে মজার খেলা ও ছড়ার বই রয়েছে শিশুদের পছন্দের তালিকায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।