ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও এনামুল হককে স্মরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
বইমেলায় মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও এনামুল হককে স্মরণ ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ড. মুহম্মদ এনামুল হককে স্মরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আলোকবর্তিকা’ এবং ‘ড. মুহম্মদ এনামুল হক: জীবন ও সৃজন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাকিম আরিফ ও সৌরভ সিকদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আনোয়ারুল হক, ললিতা রানী বর্মন ও মাসুদ রহমান। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আজিজুল হক।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আলোকবর্তিকা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে হাকিম আরিফ বলেন, বাংলাভাষী অঞ্চলে ভাষা চর্চা বা তাত্ত্বিকভাবে ভাষাবিজ্ঞানের প্রসঙ্গটি যখনই উত্থাপিত হয়, তখন অপরিহার্যভাবেই ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নাম চলে আসে। বাংলা ভাষার চর্চা বা ভাষার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের বিষয়টি ছিল তার আবেগের অংশ, জীবনযাপনের মতোই নৈমিত্তিক।

ড. মুহম্মদ এনামুল হক: জীবন ও সৃজন শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সৌরভ সিকদার বলেন, বাংলার মনীষী ড. মুহম্মদ এনামুল হক গবেষণা ক্ষেত্রে যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি প্রশাসনিক দক্ষতা ও কর্মতৎপরতায় ছিলেন অনন্য। বাংলাভাষা ও সাহিত্যের গবেষণায়, বাংলাভাষার পরিকল্পনায় ও এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারে তার অবদান চিরস্মরণীয়।

আলোচকরা বলেন, বাংলা ভাষা চর্চা, গবেষণা ও উন্নয়নে দুই অবিস্মরণীয় কীর্তিমান বাঙালি ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ড. মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে তারা বুকে ধারণ করেছিলেন। শিক্ষা, সাহিত্য ও ভাষার মেরুদণ্ড কেমন হবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এ দুজন জ্ঞানতাপস। সর্বোপরি বাংলা ও বাঙালির ভিত রচনার ক্ষেত্রে এ দুই মহান প্রতিভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ড. মুহম্মদ এনামুল হক জ্ঞানসাধনা ও চর্চায় একনিষ্ঠ ছিলেন সারাটি জীবন। বাংলা ভাষা গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। জাতিকে যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করা ও জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজের বই নিয়ে আলোচনা করেন অনিকেত শামীম ও রেজাউদ্দিন স্টালিন।

আজকের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রুহুল মাহবুব, সাঈদ তপু, সাবেদ আল সাদ ও লুৎফর চৌধুরী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী তারেক আলী, মাহফুজা আক্তার মিরা, আফরোজা কণা ও শাহীন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রাকৃতজন’, অমিত হিমেলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সমস্বর’ ও আবদুল্লাহ বিপ্লবের পরিচালনায় ‘ঘাসফুল’-এর পরিবেশনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।