ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

গারো পাহাড়ে বন্যহাতির উৎপাত ঠেকাতে সার্চ লাইট ও বাঁশি বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
গারো পাহাড়ে বন্যহাতির উৎপাত ঠেকাতে সার্চ লাইট ও বাঁশি বিতরণ

শেরপুর: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির উৎপাত চলছেই। সেই কারণে সব সময় আতঙ্কে থাকেন মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে বসবাসকারীরা।

 

বন্যহাতির তাণ্ডব ঠেকাতে এ উপজেলার সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের ৪৫টি স্বেচ্ছাসেবী দলের মধ্যে সার্চ লাইট ও বিকট শব্দের দুটি হুইসেল বাঁশি বিতরণ করেছে বিএনপি।  

হাতির দল মূলত আলো ও বিকট শব্দ শুনলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি মাথায় রেখে উপজেলার নওকুচি এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল।  

এসময় মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, এ এলাকায় হাতির অত্যাচার এখন দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। ধান ও ফলের মৌসুমে খাদ্যের সন্ধানে প্রায় প্রতিদিনই হাতির দল পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে। হাতির দল পাহাড়ের ঢালে আবাদ করা ধান পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে। হাতির আক্রমণে মানুষও মারা যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, মানুষ এখন বন্যহাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে হাতির আক্রমণ প্রতিরোধে ও হাতি-মানুষের সহাবস্থানে যুগোপযোগী স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  

উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে সমতলে নেমে আসতে শুরু করেছে বন্যহাতির পাল। শাবকসহ অর্ধশতাধিক হাতির পাল ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা। তারা টিলায় থাকা গাছের ছালবাকল খাচ্ছে। লোকালয়েও আসছে। মানুষের ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি পাকা-কাঁচা ধান, শাকসবজির খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে।  
তাই জানমাল ও ফসল রক্ষায় স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হাতির উৎপাত প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক রুবেলের নির্দেশনায় নলকুড়া ও কাংশা ইউনিয়নের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বন্যহাতির আক্রমণ প্রতিরোধে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ৪৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সার্চ লাইট ও বিকট শব্দের হুইসেল বাঁশি বিতরণ করার পাশাপাশি মশাল জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি করে জরুরি সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

বন্যহাতির তাণ্ডব ঠেকাতে এসব সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাংশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আতাউর রহমান।  

এতে বক্তব্য দেন- শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কাঁকন রেজা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শাহজাহান আকন্দ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি মো. রুকুনুজ্জামান এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মাসুম বিল্লাহ।  
অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যসহ অসংখ্য পাহাড়ি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।