ঢাকা: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রথা মানুষ ছাড়া প্রাণীকুলের অন্য কোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে ভাবাই যায় না। তবে ঠিক বিয়ে না হলেও একসঙ্গে বসবাস করে এই প্রজাতির মাকড়শা যুগল এবং সন্তানের বৈধতা দাবি করে পদক্ষেপও নেয় পুরুষ কয়েন মাকড়শা।
ভারতবর্ষের কান ধর্ম মতে, অবশ্য সেটাকে বিয়েও বলা যেতে পারে! এর চেয়েও অবাক হওয়ার মতো বিষয় রয়েছে।
মানুষের সঙ্গে এই মাকড়শার চিন্তার যেহেতু মিল রয়েছে তাই তুলনাটা মানুষের সঙ্গেই করা যাক। সাধারণত সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানো পরে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে বা শুয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু কয়েন মাকড়শার চিন্তা এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। সময় কাটানো পরে পুরুষ মাকড়শা তার সঙ্গীকে কামড়ে আহত করে ফেলে।
গবেষকরা দীর্ঘ দিন ধরেই এই আচরণের কারণ এবং কেন কেবল এই প্রজাতির ভেতরেই এ ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা খোঁজার চেষ্টা করছিলেন।
সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই রহস্য ভেদের কথা জানান। এতে বলা হয়, সন্তানের বৈধতা রক্ষায় মূলত এ কাজ করে থাকে তারা। আর বৈধতা রক্ষায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিন্ন পুরুষ মাকড়শার কারণে সন্তানের বৈধতা নষ্ট হতে পারে।
তাই অন্য পুরুষ থেকে দূরে রাখতেই এ কাজ করে থাকে পুরুষ কয়েন মাকড়শা। শতভাগ নিশ্চিত হতে, কেবল কামড়েই ক্ষ্যান্ত হয় না, রীতিমতো আহত করে তবেই ছাড়ে।
বিষয়টি শুনে হিংস্র মনে হলেও, সন্তান এবং সঙ্গী দু’জনের সঙ্গে থাকে পুরুষ কয়েন। আহত অবস্থায় যখন স্ত্রী মাকড়শা কোনো একটি গর্তের ভেতরে থাকে, তখন পুরুষ মাকড়শা ঠিক গর্তে মুখে পাহারা দেয় এবং স্ত্রী মাকড়শাকে অন্য পুরুষের হাত থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করে।
দ্য স্লোভেনিয়ান অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স অ্যান্ড আর্টস’র গবেষক মাযাজ কুন্টনার বলেন, ছোট আকৃতির পুরুষ কয়েন মাকড়শা বড় স্ত্রী মাকড়শার সঙ্গে প্রজনন ঘটাতে সক্ষম। তবে এই প্রজাতির মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতা থাকায় সন্তানের বৈধতা রক্ষায় তারা এমন নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫