ঢাকা: জলজ শিকারী প্রাণীদের ক্ষেত্রে তাদের খাবার খুঁজে নেয়া খুবই সহজ কাজ। কিন্তু বিষয়টি যদি ধীরগামী শামুকের ক্ষেত্রে হয়! এমনই এক প্রাণীর হলো কেওন।
আর সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা বলছেন বিষধর শামুকের মধ্যে কেওনই সবচেয়ে বেশি বিষধর। এটি মাছের শরীরে এক ধরনের বিষাক্ত তরল পদার্থ ঢুকিয়ে দেয় যা মাছের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে অসাড় করে ফেলে। কখনও কখনও একাধিক শামুকের সংস্পর্শে এসে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচরাল হিস্টোরির কেওন শামুক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার মেয়ার বলেন, একবার মাছের শরীরে সুগার বেড়ে গেলে এটি কোমায় চলে যায়। তখন কেওন শামুকটি একটি কৃত্রিম মুখ দিয়ে অনেকটা জাল বিছানো মতো প্রাণিটিকে আটকে ফেলে এবং পুরোপুরি অসাড় হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হলে আরেকটি বিষক্রিয়া ঘটায়।
সল্ট লেক সিটিতে ইউনিভার্সিটি অব উথাহ ইন-এ ‘টক্সিন’ বিষয়ক গবেষণা করছেন হেলেন সাফাভি-হেমামী। তিনি বলেন, একাধিক টক্সিন মূলত শিকারের শরীরে ইনসুলিনের কাজ করে। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী ইনসুলিন ব্যবহার করে হত্যার চেষ্টা করে বলে আমাদের জানা নেই। ১৯৮০ সালের কিছু আগে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ইনসুলিন ইনজেকশন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
মেয়ার বলেন, আমরা প্রথমে অবাক হয়েছিলাম শামুকটির পাশ দিয়ে যখন মাছ গুলো যায় তখন মাতালের মতো আচরণ করে। এখন বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে, কেন এমন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫