শ্রীমঙ্গল: জিরাফ লম্বা গলার প্রাণী। লম্বা এই গলা দিয়ে সে উঁচু গাছের পাতা অনায়াসে খেতে পারে।
জিরাফ অন্য পশুদের মতো স্বাভাবিক ভঙ্গিতে পানি পান করতে পারে না। বিশালাকৃতির লম্বা গলা ও পা তার প্রধান প্রতিবন্ধকতা। সামনের পা দুটি দুই দিকে ছড়িয়ে বড় কষ্টে মাথা নিচু করে পানি পান করতে হয় তাকে।
জিরাফের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এরা উটের মতো পানি না খেয়ে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দিতে পারে। তবে যখন পানিতে মুখ দেয় তখন অদ্ভুত ভঙ্গি প্রদর্শন করে। তার এমন ভঙ্গিটি ভারি সুন্দর।
শারীরিক গঠনের কারণে একটি পুরুষ জিরাফ ও স্ত্রী জিরাফের গলার দৈর্ঘ্যে পার্থক্য দেখা যায়। পুরুষ জিরাফের গলা সবসময়ই লম্বা হয়ে থাকে। যেমন- পুরুষটির গলার দৈর্ঘ্য যদি ১৮ ফুট লম্বা হয়, তাহলে স্ত্রীর দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট হয়ে থাকে। প্রায় দু-তিন ফুটের তারতম্য ঘটে।
গলা লম্বা থাকার কারণে পুরুষটি অধিক সুবিধা ভোগ করে। সে বিবেচনায় পুরুষ জিরাফটি উঁচু স্থানের খাদ্য সহজভাবে গ্রহণ করলেও স্ত্রী জিরাফটি কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হয় এবং কখনো-সখনো তার খাদ্যসংকটও দেখা দেয়।
জিরাফ স্বভাব খুব নিরীহ। এদের জিহ্বাও লম্বা। তবে এদের গলার স্বর খুব নিচু। প্রায় ২০ হার্জের নিচে। মানুষের পক্ষে সেই স্বর শোনা কখনো সম্ভব হয় না। প্রকৃতিগতভাবে জিরাফ লম্বা হওয়ার কারণে তার বসতে যেমন সময় লাগে প্রচুর, তেমনি বসা থেকে দাঁড়াতেও অনেক সময় লেগে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫