ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

২০৫০ সাল নাগাদ ২০০ কোটি মানুষ পানি সংকটে ভুগবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৫
২০৫০ সাল নাগাদ ২০০ কোটি মানুষ পানি সংকটে ভুগবে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে পানির প্রাপ্যতা আজ হুমকির সম্মুখিন। যা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের কারণ হতে পারে।

আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ২০০ কোটি মানুষ পানি সংকটে ভুগবে। তাই পানি উত্তোলন এবং ব্যবহারে আরও বেশি সতর্ক হওয়া দরকার।  

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) পরিবেশ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

রাজশাহী মহানগরের টিকাপাড়ার ইউসেপ সিটি করপোরেশন স্কুলে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ সিটি করপোরেশন স্কুলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মো. সামির উদ্দিন মিয়া। আলোচনা সভার সঞ্চালনা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল। সভায় নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আরও জানানো হয়, পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষের বাস। ২০৫০ সাল নাগাদ তা বেড়ে প্রায় ৯৬০ কোটিতে পৌঁছাবে। জনসংখ্যার ভারে পৃথিবী নুয়ে পড়ছে। প্রয়োজনীয় সম্পদের যোগান দিতে গিয়ে ক্রমশ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদ উজার হচ্ছে নির্বিচারে। জীবন তথা বাস্তুসংস্থানের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রাকৃতিক সম্পদের তিনটি মৌলিক সম্পদ হচ্ছে পানি, জ্বালানি ও খাদ্য। পৃথিবীতে যে পরিমাণ পানি আছে তার মাত্র আড়াই শতাংশ পানযোগ্য। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

প্রবন্ধে বলা হয়, বেঁচে থাকার অপরিহার্য একটি উপাদান হচ্ছে খাদ্য। আর এ খাদ্য উৎপাদন পরিবেশের ওপর সব সময়ই নেতিবাচক প্রভাব রেখে যায়। বর্তমানে খাদ্য উৎপাদনে পৃথিবীর মোট জ্বালানির প্রায় ৩০ ভাগ ব্যয় হয় এবং তাতে প্রায় ২২ ভাগ গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটে। আবার খাদ্য অপচয় খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখিন করে। তাই আমাদের এখনই সজাগ হতে হবে এবং খাদ্যের অপচয় রোধে সচেষ্ট হতে হবে। সর্বোপরি ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৫
এসএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।