খাগড়াছড়ি: একটি কাঁদির উচ্চতা প্রায় চার ফুট। কলা আছে ১৭ ছড়া।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের হাটে বড় এ দু’টি কলার কাঁদি বিক্রি হয়।
এদিকে, কলার কাঁদি দু’টি বাজারে ওঠার পর থেকে দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন, এতো বড় কলার কাঁদি তারা আগে কখনো দেখেননি।
![](files/June_2014/June_11/khagrachari_Banana01_958716697.jpg)
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের বরকলক এলাকা থেকে কলার কাঁদি দু’টি বিক্রি করতে বাজারে আনেন লাল বরণ চাকমা ও বাবুচন চাকমা। তারা দু’জন একসঙ্গে চাষাবাদ করেন।
তারা জানান, তারা কলার কাঁদি দু’টির দাম চেয়েছিলেন সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। তবে শেষ পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকায় কলার কাঁদি দু’টি বিক্রি করেছেন তারা।
লাল বরণ চাকমা বলেন, বাগানে এই জাতের মোট চারটি গাছ রয়েছে তাদের। এর মধ্যে দু’টি গাছে ফলন হয়েছে। গাছ লাগানোর ১৪ মাস পর ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাবুচন চাকমা বলেন, সময় মতো জৈব সার, চা পাতা ও গোবর দিয়ে পরিচর্যা করায় এমন ফলন হয়েছে। এতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কলা ব্যবসায়ী মো. আজিম উদ্দিন বলেন, খাগড়াছড়ি বাজারে এতো বড় কলার কাঁদি আগে দেখিনি।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী মো. মানিক মিয়া বলেন, আমি কলার ছড়া দু’টি চার হাজার টাকা বলেছিলাম। কিন্তু পরে লাল বরণ চাকমা ও বাবুচন চাকমা পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি।
পানছড়ি উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মানিক মিয়া বলেন, যে কোনো কলা গাছ থেকে স্বাস্থ্যবান একটি কিংবা দু’টি শাখা রেখে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে এমন ফলন পাওয়া সম্ভব। লাল বরণ চাকমা ও বাবুচন চাকমা খুব কম কীটনাশক ব্যবহার করে কলা চাষ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
এসআই/