ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

মাঘের শেষে চায়ের দেশে

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
মাঘের শেষে চায়ের দেশে ছবি: বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মাঘ প্রায় শেষ। তীব্র শীতের দাপট কমতে শুরু করেছে প্রকৃতি থেকে।

ইতোমধ্যে বসন্ত মাঝে মাঝে মৃদু বাতাসে ভর করে এসে জানান দিচ্ছে তার আগমনী বার্তা।
 
কিন্তু জেলার ৯২টি চা বাগান বেষ্টিত এই চা-জনপদ থেকে এখনো ফুরিয়ে যায়নি শীতের দৃশ্যমান উপস্থিতি। এখনো কুয়াশাবৃত চারদিক!

চায়ের দেশের তাই মাঘের শেষে খণ্ড দৃশ্যগুলো ধারণে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খুব সকালে বেরিয়ে পড়ি প্রিয় ভাড়াউড়া চা বাগানের নির্জন পথে পথে। কুয়াশাঢাকা সৌন্দর্য থোকা থোকা হয়ে যেন লুকিয়ে রয়েছে চা গাছের পাতায় – ডালে।
 
আবরণবেষ্টিত কুয়াশাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় - এ যেন চিত্রপটে আঁকা কোনো শিল্পীর রঙ আর তুলির শিল্পকর্ম।  

প্রায় দু’মাসের জেঁকে বসা তীব্র শীতে দেশব্যাপী মানুষ-প্রাণিকূল বিপর্যস্ত হওয়ার পর এ যেন হালকা হয়ে ধীরে ধীরে বিদায় নেওয়া এক অদেখা সৌন্দর্য। এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে শীতের খেলা!
 
সকালের সূর্যের দেখা নেই তখন। চা শ্রমিকরা বেরিয়ে পড়েছেন যে যার কাজে। চা বাগানে কাজ করতে যাওয়া দু’জন নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। এদের একজনের নাম গীতা গড় এবং অপর জনের নাম ভারতী হাজরা।

তারা বলেন, এখন চা বাগানে প্রুনিং (চা গাছ ছাঁটাই) চলছে। প্রতিদিন ২৫০টি চা গাছ প্রুনিং করলে মজুরি ৬৯ টাকা। যদি ২৫০টি গাছ ছাঁটাই না করতে পারি তাহলে ২০-৩০ টাকা করে কাটা হয় দৈনিক মজুরি থেকে।
 
চা বাগান জুড়ে নেমে আসে শীতের দাপট। এই দাপট এখন তার তীব্রতা হারিয়ে কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ছে। চা বাগান জুড়ে নেমে আসা প্রকৃতির সঙ্গে এইটিই শীতের শেষ খেলা।
 
মাঘের বিদায় বেলায় চায়ের প্রকৃতিতে যেন জেগে ওঠার তাগিদ। প্রতিটি চা গাছের পাতায় পাতায় ডালে ডালে আসন্ন ঋতুরাজের গভীর স্বপ্ন।    
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
বিবিবি/জেডএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।