পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যাপূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা-কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদ-নদীসমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাউবো’র বন্যা বুলেটিন থেকে দেখা গেছে, বর্তমানে হঠাৎ বন্যা বা বন্যার কোনো সতর্কতা নেই।
২৪ ঘণ্টার এক পরিসংখ্যান দিয়ে পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়াতে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। চিলমারিতে বেড়েছে ৩৬ সেন্টিমিটার।
যমুনার পানি ফুলছড়িতে ২৬, বাহাদুরাবাদে ২৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আর তিস্তার পানি ডালিয়াতে বেড়েছে ২০ সেন্টিমিটার।
মিরপুরে তুরাগের পানি ২৬ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ১০০ সেন্টিমিটার বেড়েছে শেরপুরে। সুরমার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে কানাইঘাটে ১৩ সেন্টিমিটার, মনু রেলওয়ে ব্রিজে মনু নদীর পানি ৪শ সেন্টিমিটার, মৌলভীবাজারে ৩৮০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদীসীমার খুব কাছাকাছি উঠে গেছে।
এছাড়া মেঘনা, গোমতী, গঙ্গা, পদ্মা, ফেণী, সাঙ্গু নদীর পানিও বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবাহওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূইঁয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অংশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এজন্য ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা, সুরমা-কুশিয়ারা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি নদী-নদীসমূহের পানি আরও বাড়তে পারে। আর গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
ভারতের সিকিম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে বাংলাদেশের নদ-নদীর পানিও।
বাংলাদেশ সময়: বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৫,২০১৯
ইইউডি/এসআইএস