আবহাওয়া অফিস এক পূর্বাভাবে জানিয়েছে, বুধবার (২৭ মে) রাতভর সারাদেশেই ঝড়-বৃষ্টির হতে পারে। এক্ষেত্রে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসারে অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় (১০-১৫) কিমি, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ৩০-৪০ কিমি পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।
বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবারের মতো বুধবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এই অঞ্চলে বুধবার সন্ধ্যা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। মৌমুসের সবচেয়ে বড় ঝড় বয়ে গেছে মঙ্গলবার রাতে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
ইইউডি/এএ