ঢাকা: কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু মানুষ নয়, অসহনীয় গরমের প্রভাব পড়েছে ঢাকা চিড়িয়াখানার প্রাণিকুলের ওপরও।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিন চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় খাবার দেওয়া হলেও খাবার না খেয়ে বাঘকে গরম থেকে বাঁচতে চৌবাচ্চার পানিতে গোসল করতে দেখা যায়। অন্য এক খাঁচার দুটি বাঘ কদম আর শিউলি। এই বাঘ দুটি গরম থেকে স্বস্তি পেতে পানির ফোয়ারাতে ডুবে থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। বৈশাখের এই অলস দুপুরে রোদ থেকে বাঁচতে চিত্রা হরিণের পালকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক আবদুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশে তাপদাহ চলছে। আজকের তাপমাত্রা প্রায় ৩৯ থেকে ৪০ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই তাপদাহ তো অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আমরা মার্চ মাস থেকেই তাপদাহ থেকে স্বস্তি পেতে প্রাণীদের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। তাপদাহের কারণে প্রাণীদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন এনেছি। প্রাণীদের শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছি। যেসব ফলমূলে পানি থাকে যেমন তরমুজ, বাঙ্গি, শসা ও খিরাই এ জাতীয় খাবার দিচ্ছি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ শেডে (খাঁচা) প্রাণীদের পানির ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে পানি স্প্রে করা হচ্ছে। দিনে দুই বার করে। কিছু কিছু প্রাণীর খাঁচায় চট ও কাপড় পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। বাঘকে তাপদাহ থেকে রক্ষা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঘ-সিংহ গরম সহ্য করতে পারে না। এই প্রাণীগুলোর জন্য আমরা প্রাকৃতিকভাবে পানির ব্যবস্থা করেছি। চিড়িয়াখানার লায়ন মোটে বাঘের খাঁচার সঙ্গে একটি ন্যাচারাল ফোয়ারা আছে। বাঘ দুটি এই ফোয়ারার পানিতে নেমে গোসল করে। অন্য শেডের ভেতরে বড় হাউজে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
এমএমআই/এএটি