সিলেট: বৈশাখেও বৃষ্টির দেখা নেই। নীল আকাশে নেই মেঘের ঘনঘটা।
গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ ও প্রাণীকূল। কোনো সুখবর দিতে পারেননি আবহাওয়াবিধরাও। তারা বলছেন, এমন অসহনীয় গরম আরও কয়েকদিন ভোগাবে।
প্রভাতে সূর্য পূর্ব আকাশে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে ধরনীতে। দুপুরের দিকে প্রকৃতিতে উত্তাপ ছড়ায়। যেমনটি ছিল মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল)।
এদিন গরমে প্রাণীকূল ছিল ওষ্ঠাগত। বিশেষ করে দিনের অসহ্য গরম সহ্য করেও সিয়াম সাধনায় মত্ত ছিলেন রোজাদাররা। এই গরমেও জীবন জীবিকার তাগিদে ঘরে বসে ছিলেন না খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা করেও জীবিকার তাগিদে কর্মঘণ্টা ব্যয় করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিস থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখে বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটে তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে শেষ রাতে খানিকটা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বুধবার তাপমাত্রা সামান্য কমে আসবে। এরপর বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। আবার ৩০ এপ্রিল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবার ১ থেকে ৫ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে।
তিনি বলেন, এবার উজানেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বাংলাদেশের উপর যে বৃষ্টিপাত, তা বঙ্গোপসাগর থেকে হচ্ছে। তবে খুশির বিষয় হলো, মার্চে ৯৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ফলনের জন্য ভাল হয়েছে। যদি তখন বৃষ্টিপাত না হতো, তাহলে ধানে চিটা হয়ে যেতো। অবশ্য অত্যাধিক গরমের পরে আবার ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে এবার রবি মৌসুমে ধানের ফলন যত দ্রুত সম্ভব ঘরে তোলাই কৃষকদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার ভোরে সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই বৃষ্টি এক নাগাড়ে নয়, ছেড়ে ছেড়ে হবে। ফলে তাপমাত্রা কমছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
এনইউ/কেএআর