ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

তলিয়ে গেল আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
তলিয়ে গেল আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স মনে হচ্ছে বিশাল জলাশয়। ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট এখন বন্যা প্রবণ এলাকা। নদ-নদীর পানি বেড়ে একের পর এক ডুবছে নতুন নতুন এলাকা।

 

গ্রামীণ জনপদের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। আর সুরমার ভয়াবহ রূপে তলিয়েছে সিলেট নগরের বহু এলাকা। গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠানেও ওঠেছে পানি।  

সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছড়ারপারস্থ বাসার নিচ এরইমধ্যে বন্যা কবলিত হয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক অর্থমন্ত্রীর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সও এখন পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
 
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সরেজমিন দেখা গেছে, আবুল মাল আব্দুল মুহিত কমপ্লেক্স ভবন, ইনডোর কমপ্লেক্সসহ তিনটি ভবনের নিচতলার অর্ধেকাংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিশালাকারের মাঠটি পরিণত হয়েছে জলাশয়ে।  স্থানীয়রা জানান, ইটপাথরের নগর শিশু-কিশোরদের একমাত্র খেলার মাঠ আবুল মাল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। কেবল খেলাধুলার জন্যই নয়, নগরের বাসিন্দারা সকাল-বিকেল এই মাঠে শারীরিকচর্চা করেন। নিজেদের সুস্থ রাখতে হাঁটাচলা করেন, দৌড়ান। বন্যায় নিমজ্জিত হওয়ায় নগরবাসীর ফুসফুস খ্যাত মাঠটি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেল।   

জানা গেছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্টদের উদাসীন ভূমিকার কারণে পানিতে নিমজ্জিত হলো আসবাবপত্র। ভবনের নিচতলায় অবস্থিত বিভিন্ন কক্ষে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র থাকলেও সেগুলো আগে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি। ফলে অবহেলায় পানিতে তলিয়ে গেল সেগুলো।    

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার (১৮ মে) সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। হয়তো তিনি জানতে পারলে অগ্রজ সহোদরের নামে গড়া কমপ্লেক্সটি দেখে যেতেন! বন্যায় সুরমার পানি উপচে ডুবছে সিলেট নগরী। নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে বুধবার রাত থেকে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ ৩৩ হাজার কেভি লাইনে গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটে। আজ সকাল থেকে ফের মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আর উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অব্যাহত ভারী বর্ষণের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট নগরীসহ বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, নগরী ছাড়াও জেলার ১৩টি উপজেলার অন্তত ৭০টি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের সংখ্যা ৫৫টি। অব্যাহত বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার পাশাপাশি বানভাসি মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।