সম্প্রতি ১৫ হাজারেরও বেশি কর্মীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিত্র ফিনটেক লিমিটেডের (Mitro) সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশি গার্মেন্টস নির্মাতা ক্রনি গ্রুপ।
গ্রুপটির পক্ষে কোম্পানির চেয়ারপারসন ও বিজিএমইএ পরিচালক নীলা হোসনা আরা এবং মিত্র ফিনটেক লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা কিশোয়ার হাশমী এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় ক্রনি গ্রুপের এমডি এএইচ আসলাম সানি, গ্রুপ চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার সান্তনু বড়ুয়া এবং মিত্র'র পক্ষে কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
নিজের বক্তব্যে নীলা হোসনা আরা বলেন, ক্রনি গ্রুপের দীর্ঘ ২৮ বছরের যাত্রায় বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে আমার কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। শ্রমিক-বান্ধব কারখানা হিসেবে ক্রনি গ্রুপের সুনাম সবসময়ই অক্ষুন্ন রয়েছে। তাই প্রথম থেকেই আমি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দায়িত্বশীল।
ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার দ্বারা পরিচালিত একটি পরীক্ষা অনুসারে, সাধারণ কর্মীদের প্রতি মাসের শেষে খাবারের ব্যয় সংকোচন করতে হয় এবং পরবর্তী বেতনের দিন পর্যন্ত তাদের আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যদিয়ে চলতে হয়। এই অর্থসংকট কাটিয়ে উঠতে কর্মীদের সাহায্য করার জন্য আর্নড ওয়েজ অ্যাক্সেস (EWA) ধারণার উৎপত্তি।
আর্নড ওয়েজ অ্যাক্সেস (EWA) হলো- একটি কর্মী সুবিধা, যা বেতনভোগী কর্মীদের বেতন-দিবসের আগে তাদের অর্জিত বেতন উত্তোলনের সুবিধা দেয়া হবে। নির্ধারিত বেতন দেওয়ার আগেই জীবিকা নির্বাহের বিভিন্ন কারণে অনেক সময় আর্থিক টানাপোড়েনের সম্মুখিন হতে হয় কর্মীদের, যা স্বাভাবিকভাবেই একজন কর্মীর কাঙ্ক্ষিত কর্মে বিঘ্ন ঘটায়। কর্মচারীরা যেন আর্থিক অনটনের এই অনাকাঙ্ক্ষিত অপেক্ষা ব্যতীত তাদের অর্জিত পারিশ্রমিক থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী উত্তোলন করতে পারেন, EWA তা নিশ্চিত করে।
মিত্র (Mitro) হলো- বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি আর্থিক নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম, যেটি তার পে-রোল সফটওয়্যারের মাধ্যমে দক্ষতার সঙ্গে বেতন পরিচালনায় ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে এবং আর্নড ওয়েজ অ্যাক্সেস (EWA) সুবিধার মাধ্যমে কর্মীদের সুস্থতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে কর্মীদের মধ্যে আর্থিক নিরাপত্তা প্রচার করে।
ক্রনি গ্রুপের কর্মচারীরা এখন তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে মিত্রের মাধ্যমে তাদের অর্জিত মজুরি তাৎক্ষণিকভাবে তুলতে পারবে। কর্মচারীরা বেতনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই মিত্র অ্যাপের মাধ্যমে তাদের উপার্জিত বেতনের একটি অংশের জন্য অনুরোধ করতে এবং তা তুলতে পারবেন। যা কর্মী স্থানান্তরের হার কমাতে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং কর্মী ধারণ, অনুপস্থিতি কমাতে সাহায্য করবে।
এই সহযোগিতার লক্ষ হলো- কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং অর্জিত মজুরিতে অ্যাক্সেস দেওয়া। সেইসঙ্গে তাদের কর্মী ও কর্মচারীদের আর্থিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষিত এবং উন্নীত করার জন্য একে অপরকে সমর্থন করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এনএস