ঢাকা: মেট্রোরেল প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (বিপিবিএল)। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ডেকোরেটিভ, দুই ধরনের রঙ সরবরাহ করার মাধ্যমে ঐতিহাসিক এই মাইলফলক অর্জন করলো বার্জার।
২০১২ সালে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল তৈরি করার জন্য মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইনের ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক।
রাজধানীজুড়ে যানবাহনের চাপ ও পরিবেশ দূষণের হার কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মেট্রোরেল। এই যুগান্তকারী প্রকল্পে অংশ নিয়ে অংশীদার হলো বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (বিপিবিএল)।
বার্জার রং সম্পর্কিত সব ম্যাটেরিয়াল মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে সরবরাহ করে। পাশাপাশি, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সবগুলো স্টেশনে রং সরবরাহ ও রং-সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে বার্জার।
ভিত্তি নির্মাণের শুরুতে বার্জার ফসরক লিমিটেডের কনস্ট্রাকশন কেমিক্যালস থেকে শুরু করে নির্মাণ শেষ হওয়ার পর ডেকোরেটিভ ও প্রোটেকটিভ কোটিং দেওয়ার মধ্য দিয়ে, মেট্রোরেলের পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় বার্জার।
এ ছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্পের এমআরটি লাইন-৬ এ ব্যবহার করা হয়েছে বার্জারের প্রিমিয়াম কোটিং। প্রত্যেকটি স্টেশনে বার্জারের লাক্সারি সিল্ক ইমালশন ও হাই-বিল্ড অ্যান্টি ডাস্ট ইপোক্সি কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে।
এ নিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী বলেন, নাগরিকদের জন্য উল্লেখ্য সব সুবিধা নিয়ে আসছে ঢাকা মেট্রোরেল। এ ধরনের যুগান্তকারী প্রকল্পের নির্মাণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরে বার্জার অত্যন্ত গর্বিত। সবার কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বপ্নের এই প্রকল্পটি বাস্তবে পরিণত হলো।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি রং-সংক্রান্ত সব কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে সরাসরি কার্যাদেশ পেয়েছে। এ ছাড়া, অন্যান্য রং সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত সহায়তার সময় কর্তৃপক্ষের তদারকির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বার্জার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
আরএইচ