ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড পেল আইপিডিসি ইজি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড পেল আইপিডিসি ইজি

ঢাকা: বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ ‘ফিনটেক ইনোভেশন অব দ্য ইয়ার (এনবিএফআই)’ ক্যাটাগরিতে সেরার স্বীকৃতি অর্জন করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিং অ্যাপ ‘আইপিডিসি ইজি’। এ ক্যাটাগরিতে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহারে পণ্য ও সেবায় উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনা কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

 

রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলামের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন।  

উল্লেখ্য, আইপিডিসি ইজি ‘ডিজিটাল লেন্ডিং’ ক্যাটাগরিতেও বিশেষ সম্মাননা লাভ করেছে।  

ফিনটেক ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে ‘আইপিডিসি ইজি’কে চিহ্নিত করা হয়েছে এমন একটি অ্যাপ হিসেবে, যা কিনা কনজ্যুমার ফাইন্যান্স ক্ষেত্রটিকেই একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পণ্যের সুপরিকল্পিত ক্রয় অভ্যাসকে দারুণভাবে গড়ে তুলছে। এর মূলে রয়েছে ‘বাই নাও পে লেটার’ ধারণাটির সুচারু বাস্তবায়ন। ‘ইজি’ প্ল্যাটফর্মটি কোনো কার্ড ছাড়াই ০% ইএমআইতে প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন ইলেক্ট্রনিক পণ্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, আসবাবপত্র ও ট্রাভেল প্যাকেজ কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে। এ ধরনের পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে আজকের বাংলাদেশের ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে মোক্ষম কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিং ব্যবস্থার যে অপ্রতুলতা, আইপিডিসি ইজি তাতে এক ইতিবাচক পরিবর্তন। ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই উল্লিখিত পণ্যগুলোকে ইন্টারেস্টবিহীন লোনে ক্রয়ের সুবিধা দিয়ে আইপিডিসি ইজি একইসঙ্গে দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত জীবনযাত্রার মান অর্জনে সহযোগী হচ্ছে। আবার আইপিডিসির জন্য নতুন গ্রাহক আনয়নের একটি দুয়ার হয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রচলিত সেবা তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগও করে দিচ্ছে। এভাবে ফিনটেকের মাধ্যমে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আধুনিক করে তুলতে অবদান রাখার উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড’।  

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম ‘ইজি’র এ স্বীকৃতিপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, আইপিডিসি সব সময় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার করে জীবনমান উন্নয়নের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আর্থিক সেবা এখন সময়ের দাবি। আর্থিক সেবাকে নতুন মাত্রা দিতে এবং দেশের মানুষের জীবনমানে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে আইপিডিসির যে নিরন্তর প্রচেষ্টা ও প্রতিশ্রুতি, এ স্বীকৃতি তারই সাক্ষ্য বহন করে। আইপিডিসি ইজি শুধু একটি অ্যাপই না, বরং দেশের মানুষকে সক্ষমতা দিতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করতে ও কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিংয়ের চিত্রপটকে পুনঃসংজ্ঞায়নে একটি উদ্ভাবনী প্রয়াস। এ স্বীকৃতিটি পেয়ে আমরা সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি এবং একই উদ্যমে আর্থিক সেবাখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাড়না অনুভব করছি।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ ‘আইপিডিসি ডানা’ প্ল্যাটফর্মের জন্য স্বীকৃতি লাভ করেছিল আইপিডিসি। দেশের ক্ষুদ্র রিটেইলারদের আর্থিক সেবাখাতে অন্তর্ভুক্ত করতে ‘আইপিডিসি ডানা’ অসামান্য অবদান রেখে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।