জেলা উপজেলা ও বিভিন্ন গ্ৰামরে উল্লেখযোগ্য মসজিদগুলোতে পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে।
এদিকে রমজান উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদেও ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
কেন্দ্রীয় মসজিদে বিদ্যুৎ লোডশেডিং হলে এর বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের কষ্ট পোহাতে না হয়। ঠাকুরগাঁও শহরের বাসিন্দা আবু তোরাব মানিক জানান, কেন্দ্রীয় মসজিদে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে দিয়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবে। সুপরিসর অজুর স্থান, অত্যাধিক সাউণ্ড সিস্টেম ও জেনারেটরসহ নানাবিধ সুব্যবস্থা থাকায় মুসল্লির উপস্থিতির হার সবসময় বেশি হয়।
রমজানের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সামনেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। রমজান মাসে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজের পর বিশেষ তালিম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বয়স্কদের কোরআন শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় সুরা-কেরাত ও দোয়া-দরুদ শিখতে পারবেন।
খতিব সাহেব আরও জানান, তারাবির জন্য দুই জন হাফেজ নিয়োগ করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও গরীব-মিসকিন এবং মুসাফিরদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হবে।
রমজান মাস গোনাহ মাফের মাস। এ মাসে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিমিত্তে একমাস সিয়াম পালন করে থাকেন। রমজানের রোজার প্রতিদান মহান আল্লাহ নিজ হাতে বান্দাদের প্রদান করবেন। অন্য মাসের তুলনায় রমজানে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যায়। মানুষ ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় নানাবিধ সমস্যার মধ্য দিয়েই রমজান কাটাতে হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলানখড়ি মিয়াজিপাড়া গ্রামের মসজিদের মুসল্লিদের কাছ থেকে জানা যায়, গ্রামের মসজিদে তেমন কোনো সুব্যাবস্থা নেই।
এলাকার মুসল্লিগণ বাংলানিউজকে জানান, মসজিদে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও লোডশেডিংয়ের কারণে মুসল্লিরা শান্তিমতো নামাজ আদায় করতে পারেন না। মসজিদের নিজস্ব অজুখানা ও বাথরুম না থাকায়- মুসল্লিদের কষ্ট করে মসজিদের আশপাশের বাড়ি থেকে অজু ও বাথরুম সারতে হয়।
তারপরও আসন্ন রমজানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন, এমনটাই জানান তারাবি নামাজের নিয়োগপ্রাপ্ত ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, তারাবির জন্য হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিগত ১০ বছর ধরে আমি তারাবির নামাজ পড়িয়েছি। এলাকার মানুষ তারাবি নামাজ পড়ার জন্য এই মসজিদে ইমামতি করার জন্য আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জেলার বেশ কয়েকটি মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, খতিব ও কমিটির লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ মসজিদে পবিত্র মাহে রমজানে কোরআন শিক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজি । এই মসজিদে তারাবি নামাজের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ওই এলাকার মুসল্লিরা।
রমজানবিষয়ক যেকোনো ধরনের লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এমএমইউ