নিরাপত্তা বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল সাইদ আল-ক্বারনি নিশ্চিত করে বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগীয় পরিচালকের তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গৃহীত ‘ওমরাহ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এতে করে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
সহকারী নিরাপত্তা বিভাগীয় প্রধান মেজর জেনারেল মুহাম্মদ আল-আহমাদি বলেন, মসজিদুল হারামে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম সামাল দিতে নিরাপত্তাকর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূলত তিন ধরনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে: এক. সংঘবদ্ধভাবে মুসল্লি-সমাগম স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখা। দুই. ওমরাহ পালনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তিন. বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু এবং হারিয়ে যাওয়া লোকজনকে মানবিক সহায়তা দেওয়া।
আল-আহমাদি বলেন, মাতাফে (তাওয়াফ করার স্থানে) এক লাখ সাত হাজার মানুষের সংকুলান হয়। তাদের মধ্যে ৩০ হাজার কাবা চতুর্পাশে, ১০ হাজার ৮ শ নিচ তলায়, ২৮ হাজার ৫ শ ১ম তলায় ও বিশেষ মেহমানদের জন্য নকশাকৃত অংশে ২ হাজার এবং ছাদে ৩৬ হাজার লোক সংকুলান হয়।
ওমরাহ নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ আল-দাবিব সড়কে নিরাপত্তা বিষয়ে বলেন, ওমরাহ মৌসুমে ট্রাফিক ব্যবস্হা উন্নত করা হয়েছে। মক্কা শহরের প্রবেশপথে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
মক্কা পুলিশ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফাহাদ আল-উসাইমি বলেন, অপরাধ দমনে নিরাপত্তাকর্মীরা অপরাধীকে তল্লাশি করতে সদা প্রস্তুত।
আরবনিউজ অবলম্বনে: হুসাইন মুহাম্মাদ জাওয়াদ
রমজানবিষয়ক যেকোনো ধরনের লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এমএমইউ