ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু ও আহসান উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান, সৈয়দা সাবিনা আহমেদ ও মারুফা আক্তার শিউলি।
হাইকোর্ট সূত্র জানায়, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঘোষিয়াল গ্রামের মনোজিত সমাদ্দারের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা সমাদ্দারকে একদল দুষ্কৃতকারী ২০১০ সালের ৪ আগস্ট অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ও পরে তাকে হত্যা করে।
এ অভিযোগে পূর্ণিমার বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মাগুরা আদালতে ঘোষিয়াল গ্রামের মো. ইউসুফ জোয়ার্দার, মো. জিল্লুর রহমান ও আক্কাস শেখকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১১ সালের বিচারিক আদালত স্কুলছাত্রী পূর্ণিমাকে অপহরণের অভিযোগে তিন আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং হত্যার অভিযোগে তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে আসে।
রায়ের পরে মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, বয়স বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাদের যাবজ্জীবন দিয়েছেন। চার্জশিটের সময় ইউসুফের ২৬, জিল্লুরের ২৫, আক্কাসের ২৫ বছর বয়স ছিলো। কিন্তু অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে অপহরণ এবং ধর্ষণ চেষ্টার দায় আদালত আমলে নেয়নি। এ কারণে কেবল ৩০২ ধারায় তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
ইএস/এসএইচ