মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ‘জেন্ডার, অধিকার ও মতপ্রকাশ: বড় শহরসমূহে ন্যায় বিচারে অভিগম্যতা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধন বিচারপতি বলেন, নারীর প্রতি এই বৈষম্য রোধে আইন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন সংস্থায় অর্থায়ন করছে। ২০১৭ সালে ৬৬ হাজার ৬৪৪ জনকে সরকারি অর্থায়নে আইনি সহায়তে দিয়েছে লিগ্যাল এইড। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৮৮২ জনই নারী। নারীর বৈষম্য রোধে এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ।
দিন দিন আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে জানিয়ে বিচারপতি বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৪২ হাজার ২৪৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এটি প্রমাণ করে যে, দিন দিন আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। বিচার পাবার আশায় মানুষ আইনের দারস্থ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতের উড়িষ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শ্রীকৃষ্ণ রাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ প্রমুখ।
দুই দিনের এ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আইন অনুষদ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সাভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসকেবি/জিপি