সোমবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।
আসামিদের মধ্যে প্রকল্পটির সাবেক অফিস সহকারী মাহফুজ হোসেন ভূঁইয়াকে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের তিনটি ধারায় মোট ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ওই প্রকল্পের সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্যকে দু’টি ধারায় মোট ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া এ জালিয়াতিতে সহযোগিতার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ নামে এক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিভিন্ন ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হওয়ায় মাহফুজকে ১৪ বছর এবং প্রদীপকে ১০ বছর সাজা খাটতে হবে।
এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রকল্পের পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ সরবরাহের জন্য ওই প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিল ভাউচার ও কাগজপত্র দেখিয়ে এক কোটি আট লাখ ছয় হাজার ৫৯১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এমআই/টিএ