মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘোটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সতকর গ্রামের আবদুল হামিদ দর্জির ছেলে নুরুজ্জামান।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর আসামি নুরুজ্জামান একই উপজেলার জ্ঞানপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে নাদিরা আকতারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো ওই গৃহবধূর। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করেও নাদিরা স্বামীর সংসার করছিলেন।
২০১০ সালের ১৯ আগস্ট ওই গৃহবধূর কাছে আবারও স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে নুরুজ্জামান তার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেন। অপর দুই আসামি নাদিরা শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালায়।
একই বছরের ২৫ আগস্ট নিহত গৃহবধূর বাবা রুস্তম আলী বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় নিহতের স্বামী নুরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দুই আসামি দেবর রিয়াজ ও শাশুড়ি আরবজানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী তোফাজ্জাল হোসেন তালুকদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
জিপি