ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

জামালপুর: জামালপুরের মাজেদুল ইসলাম নামে এক সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে একের পর এক ধর্ষণ পরে গর্ভাবস্থায় অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। 

শনিবার (১১ মে) বিকেলে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহকর্মী বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মাজেদুল সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মোতালেব মাস্টারের ছেলে।

অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসারকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী সদর উপজেলার শরিফপুরের রঘুনাথপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহকর্মী জানায়, প্রায় এক বছর আগে মেলান্দহ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মাজেদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয় ভিকটিম। ওই শিক্ষা অফিসারের স্ত্রী নাজমা আক্তারও একজন স্কুল শিক্ষিকা। কিছুদিন কাজ করার পর থেকেই গৃহকর্তা মাজেদুল স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতি শনিবার তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল।

এ অবস্থায় ওই গৃহকর্মীর শারীরিক গঠন পরিবর্তন দেখা দিলে দুই মাস আগে পার্শ্ববর্তী পিঙ্গল হাটি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়ে দেন লম্পট শিক্ষা অফিসার।  

এদিকে বিয়ের দুই মাসের মাথায় ৭ মাসের মৃত বাচ্চা প্রসব করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। লোক লজ্জার ভয়ে স্বামীর পরিবারের লোকজন মৃত সন্তানসহ ভিকটিমকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। এ ঘটনা জানাজানির পর প্রতিবেশীদের কাছে গৃহকর্তা মাজেদুলের পাশবিক যৌন নির্যাতনের কাহিনী খুলে বললে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

একপর্যায়ে এলাকাবাসী মাজেদুলের বাড়ি ঘেরাও করে বিচারের দাবি করেন। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই মাজেদুল পলাতক রয়েছেন।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ওই গৃহকর্মীর ওপর পাশবিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষা অফিসার মাজেদুলকে আসামি করে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।  

নির্যাতিতার মৃত সন্তানের ময়না-তদন্তের পর ডিএনএ টেস্ট করতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গৃহকর্তা মাজেদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য ওই সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।