ওই শিক্ষার্থীদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতের তিন ছাত্রের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।
তিন শিক্ষার্থী হলেন- সব্য সাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিরী ও প্লাবন চৌধুরী।
চূড়ান্ত রুল শুনানির পর যদি তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায় তাহলে এ পরীক্ষার কোনো মূল্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর একই আদালত আরও ১০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে এমন আদেশ দিয়েছেন।
ওই দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক, আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী ও শাকিলা রওশন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক।
পরে নুর উস সাদিক বলেন, রুলটা যদি পরে খারিজ হয়ে যায় তবে, এ পরীক্ষার কোনো মূল্য থাকবে না।
আইনজীবীরা জানান, র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট এসব শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। পরে এর বৈধতা নিয়ে তারা পৃথক রিট করেন।
রুলে তাদের আপিল খারিজ করে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই ১০ শিক্ষার্থী হলেন মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুন্তাসিম, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ, আনফালুর রহমান, অর্ণব চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মোহিবুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ইএস/এএটি