একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুমিনুল হক। টানা ৯ ইনিংস পর পেয়েছেন দুই অঙ্কের দেখা।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই টাইগারদের। শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ভারতীয় বোলারদের হতাশ করেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। দলীয় ৩৯ রানে বিদায় নেন দুজনেই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জাকির ১৫ রান ও শান্ত ফেরেন ২৪ রানে। আবারও দলে সুযোগ পেয়ে তিনে ব্যাট করতে নামেন মুমিনুল। জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও বাজে ফর্ম পিছু ছাড়ছিল তার। অনেকটা অবাক করে দিয়েই চারে এসে তার সঙ্গে জুটি বাধেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
চট্টগ্রাম টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সুর সাকিব ধরে রাখেন এই ম্যাচেও। কিন্তু লাঞ্চের পর ঠিক প্রথম বলেই উমেশ যাদবের বলে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে চেতেশ্বর পূজারার হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। ১ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ বলে তিনি করেন ১৬ রান।
মুশফিকুর রহিমও আরও একবার ব্যর্থ বড় রান করতে। এই ব্যাটার ৪৬ বল খেলে ২৬ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ঋষভ পন্থের হাতে। তার পর ক্রিজে এসে দারুণ করছিলেন লিটন দাস। যথারীতি খেলছিলেন মুগ্ধ হওয়ার মতো শট। কিন্তু হঠাৎই অশ্বিনের বলে মিডউইকেটে সহজ এক ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ২৫ রান করেন লিটন।
এরপর থেকে মুমিনুল হকের সঙ্গী হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নেতৃত্বের পর দলে জায়গাও হারিয়েছিলেন মুমিনুল, ফিরেই তিনি হাঁকিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। চা-বিরতির পর বড় জুটির ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মুমিনুল-মিরাজ। কিন্তু দলীয় ২১৩ রানে উমেশকে কাট করতে পন্থের হাতে তালুবন্দী হন মিরাজ। এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ড্রাইভ করতে গিয়ে পন্থের হাতে বল তুলে দেন মুমিনুল। ১২ চার ও ১ ছয়ে ৮৪ রান করে দলের দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি। ভারতের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন উমেশ ও অশ্বিন। বাকি দুটি যায় ১২ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা পেসার জয়দেভ উনাদকাটের পকেটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২২৭/১০ (মুমিনুল ৮৪, মুশফিক ২৬, লিটন ২৫,শান্ত ২৪; উমেশ ৪/২৫, অশ্বিন ৪/৭১)
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এএইচএস