‘মেন্টাল এরর’ বা মানসিক ভ্রান্তি, শব্দ দুটো জেমি সিডন্স বলছিলেন বারবার। মাত্রই মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে।
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মুমিনুল হকদের আউট হওয়ার ধরণও ছিল বেশ কুৎসিৎ। এসবের ব্যাখ্যায়ই ‘মেন্টাল এরর’ বলছিলেন সিডন্স। এবারই প্রথম নয়, আগেও অনেকবার শব্দ দুটির ব্যবহার করেছেন তিনি। তার মানে ‘রোগ’ ধরতে পেরেছেন। কিন্তু তবুও কেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা শুধরাচ্ছেন না?
এমন প্রশ্নের জবাবে সিডন্স বলেছেন, ‘ভালো প্রশ্ন। আমি এখানে ছয়-সাত মাস ধরে আছি। অনেক আলোচনা হয়েছে, অনুশীলনও। কিন্তু যখন কোনো ব্যাটার ক্রিজে যায়, একজনই শটটা খেলতে পারে। আমি পারি না তাদের হয়ে খেলতে। ২৮ রান যখন তারা করে, পরে আরও ২৮ রান এমনভাবে করবে এটাই আশা করা যায়। ’
‘কিন্তু আমরা দেখলাম খেলায় বদল। সাকিব ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসেছে, লিটন একটু বেশি চেষ্টা করতে গেছে। মিরাজ রাশ শট খেলেছে যেটা তার খেলার কথা না। তাদের ছয় ঘণ্টা একই গিয়ারে থাকার দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা পুরো দিন ব্যাট করার কথা বলেছি। ঝলক দেখানো ২৮-৩০ না। এমন ঘটেই যাচ্ছে। ’
দায় কি শুধু ক্রিকেটারদের, আর কারো নয়? পাল্টা প্রশ্নের জবাবে সিডন্স বলছিলেন, ‘আমি টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করি, মানসিক না। এক-দুটো ছাড়া আমার মনে হয় না কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। তারা উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে আকাশে মারতে চেয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এটা আমার পক্ষে ঠিক করা সম্ভব না। ’
বহুবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে মানসিক ব্যাপার সামনে এসেছে। নানা সময়ে ভিন্ন ব্যক্তি বলেছেন বিষয়টি। তাহলে কি বিসিবির মনোবিদ নিয়োগের সময় এসেছে? জেমি সিডন্স বলছেন, কাজটা একদমই সহজ নয়। তবে সঠিক মানুষ খুঁজে পেলে ক্রিকেটারদের সাহায্য করবে, বলছেন তিনি।
সিডন্স বলেন, ‘এটা এত সহজ না। আপনি যদি সঠিক মানুষ খুঁজে পান, যোগাযোগ ভালো থাকে, ক্রিকেট বুঝে; এটা হয়তো সাহায্য করবে। আমি ক্রিকেটারদের দায়িত্ব দিতে চাই যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি। তারা খেলে, জানে কীভাবে বল মাঠের বাইরে নিতে হয়, এটা কেবল তাদের লম্বা সময় ধরে করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৯ ঘণ্টা, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২
এমএইচবি