তিন ব্যাটারকে ফেরানো গিয়েছিল প্রথম সেশনেই। বিরাট কোহলিও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছুক্ষণ পরই।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-ভারত। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২২৭ রানে। দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি অবধি ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করেছে ভারত।
আগের দিনই নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ ওভারে এসে সাফল্য এনে দেন তাইজুল। তার বলে পা বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে গেলে প্যাডে লাগে রাহুলের। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিলে সাজঘরে ফিরতে হয় রাহুলকে। ১ চারে ৪৫ বল খেলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
নিজের পরের ওভারেই আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার শুভমন গিলকে আউট করেন তাইজুল। সুইপ করতে গেলে তার প্যাডে লাগে। এবার সরাসরি আউটই দেন আম্পায়ার। ১ চার ও ছক্কায় ৩৯ বলে ২০ রান করে আউট হন গিল।
এরপর ভয় ধরাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি ও পূজারা। দুজন মিলে খেলে ফেলেছিলেন ১০০ বল, তারা টিকে গেল বিপদ আনতে পারেন সেটা জানা। তবে ঠিক ১০১তম বলে এসেই ক্যাচ দেন পূজারা। শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে সেটি ধরেনও মুমিনুল। এর আগে জাকির দাঁড়িয়ে ছিলেন এই জায়গায়, তার আশেপাশে কয়েকটি বলও এসেছিল কিন্তু মুঠোয় জমাতে পারেননি।
মুমিনুল ক্যাচ ধরলেও কিছুটা দ্বিধা ছিল। থার্ড আম্পায়ারের শরনাপন্নও হতে হয়। কয়েকটি অ্যাঙ্গেল ও জুম করে দেখে তিনি নিশ্চিত হন, ক্যাচ ধরার সময় তাইজুলের আঙুল ছিল নিচে। কোহলির সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি ভাঙে পূজারার। তিনি ২ চারে ৫৫ বলে ২৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
প্রথম সেশনের বাকি সময়টুকু পার করেছেন ঋষভ পন্থ ও বিরাট কোহলি। কিন্তু বিরতি থেকে ফেরার পর কোহলি টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাসকিনের লেন্থ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ৭৩ বলে ২৪ রান করেন কোহলি।
এরপর শ্রেয়াস আয়ার ও ঋষভ পন্থ রান তুলছেন ঝড়ো গতিতে। যদিও তাদের ১৩২ রানের জুটিতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের অবদান বেশি। প্রথমে পন্থ ১১ রানে থাকতে স্লিপে তার ক্যাচ ছাড়েন লিটন দাস। এরপর দুই রানের ব্যবধানে দুবার জীবন পান শ্রেয়াস আয়ার।
গালিতে দাঁড়িয়ে মিরাজ ক্যাচটি প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুঠোয় জমাতে পারেননি। আয়ার ২১ রানে থাকার সময় সহজ স্টাম্পিং করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। তিনি এখন অপরাজিত আছেন ৬৮ বলে ৫৮ রান করে, ৮৯ বলে ৮৬ রান পন্থের।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৫ ঘণ্টা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২
এমএইচবি