ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে চট্টগ্রামকে জেতালেন উসমান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে চট্টগ্রামকে জেতালেন উসমান 

বিপিএলে নবম আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন আজম খান। কিন্তু অপর প্রান্তে যোগ্যসঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি।

তাই খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ ১৭৮ রানের বেশি এগোয়নি। রাতের শিশিরের কারণে মিরপুরের উইকেট অনেকটাই ব্যাটারদের হয়ে কথা বলে। তাই আজমের সেঞ্চুরিকে সফল পরিণতি  দিতে পারলেন না খুলনার বোলাররা। তাকে ম্লান করে শেষ হাসি হাসেন তারই স্বদেশী উসমান খান। ডানহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

বিপিএল ইতিহাসে একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির চতুর্থ ঘটনা এটি। প্রথমটি অবশ্য একই দলের হয়ে। ২০১৯ সালে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি  করেছিলেন রংপুর রাইডার্সের রাইলি রুশো ও অ্যালেক্স হেলস। গত বছর ঢাকার বিপক্ষে সিলেটের লেন্ডল সিমন্স সেঞ্চুরি করলেও তা ভেস্তে যায় তামিম ইকবালের বিধ্বংসী শতকের কারণে। একই আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফাফ ডু প্লেসির সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দেন খুলনা টাইগার্সের আন্দ্রে ফ্লেচার। এবার অবশ্য খুলনার আজম খানকে ট্রাজিক হিরো বানালেন উসমান খান।

বিপিএলে আসার আগে টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলেছেন কেবল ৭ টি। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১২০, সেঞ্চুরি তো দূরের কথা ফিফটিই করেছেন কেবল একবার। কিন্তু বিপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনালেন উসমান। ৫৮ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। ১৭৯ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের পথটা ছিল একদমই মসৃণ। একটা পর্যায় মনে হচ্ছিল ১০ উইকেটেই জয় পাবে তারা। কিন্তু তা হতে দেননি নাহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে নাসুম আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যাক্স ও' ডাউড। ৫০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রান করেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ১৪১ রানের  জুটি। বিপিএলের উদ্বোধনী জুটির ইতিহাসে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। তবে বাকিটা পথ আফিফ হোসেনকে (৫*) নিয়ে নিরাপদেই কাটিয়ে চার বল হাতে রেখেই জয় এনে দেন উসমান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে সাইফউদ্দিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মাত্র ৫৫ বলে।

তাতে মলিন মুখেই মাঠ ছাড়তে হয় আজম খানকে।  বিশালদেহী আজম নিজের ওজন নিয়ে কম সমালোচনা শোনেননি। তবে সব সমালোচনাই পারফরম্যান্স দিয়ে ঢেকে দিতে চেয়েছেন। আজ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫৮ বলে ৯ চার ও ৮ ছয়ে অপরাজিত ১০৯  রানের ইনিংস খেলে আরও একবার বোঝালেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কেন তার কদর বাড়ছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ৮৮ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। তৃতীয় ওভারেই নিজের দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। ৫ রান করা শারজিল খানকে মিড অনে থাকা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। পরের ওভারেই হাবিবুর রহমানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আবু জায়েদ রাহী।

মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। অভিজ্ঞ তামিম ইকবালও হাতখুলে খেলতে পারছিলেন না। শুরুর দশ বলে কেবল এক রান নিতে পারেন তিনি। কিন্তু আজম খান ক্রিজে আসতেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। চট্টগ্রামের বোলারদের কেবল ছাতুপেটা করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ফিফটি করতে সময় নেন ৩৩ বল। পরের ফিফটি করতে সময় নেন মাত্র ২৪ বল।  

তৃতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি বাঁধেন আজম। যেখানে তামিমের অবদান  ২৭ বলে ৩৯ রান। তবে ব্যক্তিগত ভাবে ৩৭ বলে ৪০ রান করে ভিয়াস্কান্তের বলে বোল্ড হন তামিম। তার বিদায়ের পর যোগ্য সঙ্গী পাননি আজম। তবে একা হাতে দলকে টেনেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার।  তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুবাদে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। ইয়াসির আলী ১, সাব্বির রহমান ১০ রানে ফেরেন। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। একটি করে শিকার শুভাগত হোম, ভিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত ও জিয়াউর রহমান।
 

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩

এএইচএস

 

 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।